০২:৩৯ এএম | টাঙ্গাইল, শনিবার, ৪ মে ২০২৪
প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া

কলা চাষে দিন দিন বাড়ছে কৃষকের আগ্রহ

মো. ইউনুস আলী, ধনবাড়ী | টাঙ্গাইল২৪.কম | সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২০ | |
, টাঙ্গাইল :

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায় বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কলার চাষ। “কলা রুয়ে না কটো পাত, তাতেই কাপড় তাতেই ভাত” খনার বচনটি ভালোই আত্মস্থ করেছেন এখানকার কলা চাষিরা। এদের পরিবারে কেবল ভাত কাপড়ের ব্যবস্থাই নয়। কলা চাষ করে শুধু দুঃখই ঘোচাননি, পরিবার-পরিজন নিয়ে ভালোভাবেই চলতে পারছেন তারা। 

আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় কলা চাষের দিকে দিনদিন আগ্রহ বেড়েছে কলা চাষিদের। ধান চাষিরা ধান আবাদ করে বারবার লোকসান গুনার কারণে এবং বাজারে ধানের পর্যাপ্ত দাম না পাওয়ায় কলা চাষের দিকে ঝুঁকছেন। কলা চাষ করে এ উপজেলায় সাবলম্বীও হয়েছেন অনেক কলা চাষি। আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে পাওয়ার কারণে তাদের সন্তানদের ভালোভাবে পড়ালেখাও করাতে পারছেন। অর্থকরি ফসল হিসাবে উপজেলায় বিবেচিত হচ্ছে এই কলা।

উপজেলার কলা চাষি রুহুল আমিন, আস্কর আলী, ও নূরুল ইসলাম জানান, কলা চাষ করে অন্যান্য ফসলের চেয়ে বেশি লাভবান হওয়া যায়। কলা চাষে প্রথম অবস্থায় সাথি ফসল হিসাবে মসলা জাতীয় ফসল, সকল ধরনের সবজি, ধানসহ অন্যন্যা ফসলও আবাদ করা যায়। কলা চারা গাছ লাগানোর অল্প দিনের মধ্যে বেড়ে উঠে এবং দ্রুত ফল পাওয়া যায়। বৈশাখ মাসে কলা চারা রোপন করলে অগ্রহায়ণ মাস থেকে ফলন পাওয়া যায়। যে সব জমিতে পানি জমে না সে সব জমিতে কলা চাষ  ভালো হয়। 

এক বিঘা জমিতে কলা চাষের জন্য জাতভেদে আড়াই শত থেকে সাড়ে তিনশত কলা চারা রোপন করা যায়। একটি কলা গাছ ২ থেকে আড়াই মণ পর্যন্ত কলা দিতে পারে। এক বিঘা জমিতে সর্বোচ্চ ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হলেও তিন-চার গুণ টাকার কলা বিক্রি করা যায়। একবার কলা চারা রোপন করলে একটানা তিন বছর ভালোভাবে ফলন দিতে পারে। যা অন্য কোন ফসলে সম্ভব হয় না। এখানকার কলা ভালোমান হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এসে কলা চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি কলা ক্রয় করে ঢাকা, সিলেট, চট্রগ্রাম, কুমিল্লা, বরিশালসহ দেশের বিভিন্নস্থানে নিয়ে তারা বিক্রি করে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, বাণাজ্যিক ভিত্তিতে অনুপম, চাঁপা, মহের সাগর, মানকিসহ বিভিন্ন জাতের কলার চাষ করা হয়েছে। এসব জাতের কলা গাছ থেকে অল্প দিনেই ফল পাওয়া যায়। কড়য়া গ্রামের কৃষক মো. খলিলুর রহমান জানান, তিনি এবার ৪ বিঘা জমিতে কলা চাষ করেছেন। প্রতি বিঘায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সকল খরচ বাদে ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকার মত লাভ থাকে। আমাদের কলা বিক্রি করতে কোন ঝামেলা হয় না। দেশের বিভিন্নস্থান থেকে কলা পাইকাররা এসে কলা নিয়ে যায় এবং স্থানীয় বাজারে আমাদের কলা বিক্রি করা যায়। বাজারে কলা পর্যাপ্ত চাহিদা রয়েছে। 

অপর কলা চাষি সুমির  হোসেন ও লিটন মিয়া জানান, আমাদের অঞ্চলে কলার ভালো ফলন হয়। এখানকার স্থানীয় কলা চাষি ও কৃষকরা কলা আবাদ করে কোন ধরনের লোকসান না হওয়ায় দিনদিন আগ্রহ বেড়েই চলছে। এখানকার প্রতি ছড়ি কলা প্রকারভেদে সাগর কলা ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, সবজি কলা (আনাজ) ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চাপা কলা ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি করা যায়। এ অঞ্চলের কলা দেশের বিভিন্নস্থানে নিয়ে বিক্রি হয়। এ ছাড়াও উপজেলার ধনবাড়ী বাজার, পাইস্কা বাজার, বলিভদ্র বাজার, মুশুদ্দি বাজার ও ইসলামপুর বাজারসহ বিভিন্ন স্থানীয় বাজারে কলার হাট বসে।

ধনবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এবার ৭০ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছে। কলা চাষে লাভবান হওয়ায় কলা চাষি ও কৃষকরা কলা চাষের দিকে আগ্রহ বেড়েই চলছে। কলা চাষে তেমন কোন ঝামেলা না থাকার কারণে স্থানীয়রা কলা চাষ করেছে।  কলা চাষের জন্য উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে কলা চাষিদের নানা ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। যাতে করে চাষি ও কৃষকরা লাভবান হতে পারেন।

এসআর

আপনার মন্তব্য লিখুন...

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে গণমাধ্যমকর্মীদের সমাবেশ  গুচ্ছ ‘বি’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় মাভাবিপ্রবি কেন্দ্রে উ মির্জাপুরে রাতের আঁধারে কৃষি শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা নাগরপুরে দু''পক্ষের সংঘর্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নি সখীপুর বনে দুর্বৃত্তের আগুন, বিলুপ্ত হচ্ছে বন্য প্রাণী কালিহাতীতে মে দিবস পালিত মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধ প্রধান শিক্ষককে বাড়িতে ডেকে নিয়ে মারধর, থানায় মামলা গোপালপুরে বিদেশ ফেরত পুনরেকত্রীকরন শীর্ষক কর্মশালা নাগরপুরে খাদ্যভিত্তিক পুুষ্টি (ফলিত পুষ্টি) বিষয়ক প্রশি করটিয়া হাটে আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন মেয়ের বাড়ি বেড়াতে এসে লাশ হলেন বাবা ৫০০ টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৪ নেতা গোপালপুরে হিটস্ট্রোকে চা বিক্রেতার মৃত্যু  নাগরপুরে বালুবাহী ট্রাক্টর কেড়ে নিল যুবকের প্রাণ

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি