টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব দক্ষিণ পাড়ের যমুনা নদী তীরবর্তী গড়িলা বাড়ি এলাকায় অসময়ে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের ফলে ইতোমধ্যে ৫টি পরিবারের পাকা বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে আরো বেশ কিছু বাড়ি ঘর। শুক্রবার রাত থেকে এ ভাঙন দেখা দেয়।
এলাকাবাসী জানান, ভাঙনে খালেক আকন্দ, নাসির শিকদার ও কয়েস শিকদারসহ বেশ কয়েকটি পরিবারের বাড়ি ঘর নর্দী গর্ভে চলে গেছে। ফলে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু রক্ষা বাঁধ এলাকায় ভাঙন রোধে স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে গড়িলা বাড়ি পাথর ঘাট থেকে ৪৫০মিটার গাইড বাঁধ নির্মাণের জন্য রানা বিল্ডার্স এন্ড শহীদ ব্রাদার্স (জেবি) নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। কালিহাতীর গোহালিয়াবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদার ও তার লোকজন বাধ নির্মাণে বাঁধা দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে বাঁধ নির্মাণের কাজটি সাময়িক বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ।
ভুক্তভোগীরা জানান, গাইড বাঁধ নির্মাণ শেষ হলে এ ভাঙন হতো না।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ বিবিএ’র বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বলেন, শুক্রবার রাত থেকে ভাঙন দেখা দেয়। রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। ওই অংশে গাইড বাঁধ নির্মাণের জন্য দুই মাস আগে কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যনসহ প্রভাবশালী মহলের বাঁধার কারনে কাজ বন্ধ রয়েছে। গাইড বাঁধ সম্পন্ন হলে ভাঙন রোধ করা যাবে।
তিনি আরো বলেন, নির্মাণ কাজে বাধা দেয়ার বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
এবিষয়ে চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদার বলেন, আমি গাইড বাধ নির্মাণে বাধা দেইনি। এখন আমি নদী থেকে বালু উত্তোলনও করি না।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকার ৬ কিলোমিটারের মধ্যে যমুনা নদীতে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ হলেও একটি প্রভাবশালী মহল বালু উত্তোলন করে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ স্থানীয় প্রশাসন ও বিবিএ’র কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই এ বালু উত্তোলন করা হয়। বালু উত্তোলনের ফলে নদী তীরবর্তী কয়েকটি গ্রামের শতশত বাড়ি ঘর ও স্থাপনা নর্দী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সহায় সম্বল হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন অসংখ্যা মানুষ।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...