টাঙ্গাইল পৌর শহরের ভাল্লুককান্দী এলাকায় সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ও তার চার বছরের শিশু মেয়েকে জবাই ও কুপিয়ে হত্যার একমাত্র আসামী রাইজুদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত স্বামীর বন্ধু রাইজুদ্দিন নগদ টাকার লোভে এ হত্যাকান্ড শেষে নগদ আট লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত রাইজুদ্দিন নিহতের স্বামী আল আমীনের ঘনিষ্ট বন্ধু।
আল আমীন বিকাশের ব্যবসা করতো। সেই কারণে তার বাসায় নগদ টাকা রাখতো। আর রাইজুদ্দিন তা টের পেয়ে সেই টাকা নেয়ার জন্যই এই হত্যাকান্ড ঘটায়।
সে ঘটনার দিন রাত্রি সাড়ে ৮টার দিকে আল আমীনের বাসায় গিয়ে প্রথমে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী লাকী বেগমকে ছুরিকাঘাত করে। পরে ঘটনাটি তার মেয়ে আলিফা দেখে ফেলায় তাকেও সে জবাই করে হত্যা করে।
পরে সে ঘরের ভিতর থাকা নগদ আট লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত আসামীর স্বীকারোক্তি মোতাবেক তার বাড়ির মুরগির খোয়াড় থেকে পুরো টাকা ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছোঁড়া এবং তার রক্তমাখা লুঙ্গি-শার্ট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত রাইজুদ্দিন পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তাকে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য,১৩ অক্টোবর রাতে টাঙ্গাইল পৌর শহরের ভাল্লুককান্দী এলাকায় সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ও তার চার বছরের শিশু মেয়েকে জবাই ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে নিহতের পিতা হাসমত আলী বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় অজ্ঞাতদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...