১০:৫২ এএম | টাঙ্গাইল, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া

ডাক্তারি পড়ার স্বপ্ন পূরণ হবে কি সবুজের 

স্টাফ রির্পোটার | টাঙ্গাইল২৪.কম | সোমবার, ২৬ এপ্রিল ২০২১ | |
, টাঙ্গাইল :

অদম্য ইচ্ছা শক্তি আর দারিদ্রতার কষাঘাত দমাতে পারেনি ভ্যান চালকের ছেলে সবুজকে। সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। চার সদস্যের অভাবী সংসারের মধ্যেই খেয়ে না খেয়ে বড় হয়েছে সবুজ। বাবাই সংসারের একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম। সম্পদ বলতে বাড়ী-ভিটে আর নিজের দেহটা। ছেলের পড়াশোনার খরচ জোগাতে মাও অন্যের বাড়ীতে ঝি এর কাজ করেন। অদম্য ইচ্ছা শক্তি নিয়েই সবুজ এবার ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ সিলেট-এ ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।

সবুজের পুরো নাম আশরাফুল ইসলাম সবুজ। সে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার পাইস্কা ইউনিয়নের কয়ড়া পূর্বপাড়া গ্রামের ভ্যান চালক আব্দুর রশিদের ছেলে। তারা দুই ভাই। ছোট ভাই সবিজ রায়হান ধনবাড়ী মডেল কলেজিয়েট স্কুলের নবম শ্রেণিতে পড়ে। মা সুফিয়া বেগম। দাদা জোয়াহের আলীও ভ্যান চালক।

সবুজ ধনবাড়ী মডেল কলেজিয়েট স্কুল থেকে জেএসসি, এসএসসি এবং শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ মায়মনসিংহ থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।

এলাকাবাসী জানান, ভ্যান চালক আব্দুর রশিদের দুই ছেলেই খুব মেধাবী। সংসারে রশিদই একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম। এতদিন ভ্যান চালিয়ে ও ধারদেনা করে দুই ছেলেকে পাড়ালেখা করিয়ে আসছে। কিভাবে সবুজকে ডাক্তারি পড়াবে এ নিয়ে সবুজের বাবা খুবই চিন্তিত। 

ভ্যান চালক আব্দুর রশিদ বলেন, ছোট বেলা থিকে সুবজ ভালা ছাত্র। ছোট থিকে সবইরে কইতো আমি ডাক্তর হমু। অনেক কষ্ট কইরা পুলারে পড়ালেখা করাইতাছি। আল্লাহ রহমতে আমার পুলা ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পাইছে। কিন্তু আমার সংসারে আয়-উন্নতি তেমন নাই। এজন্য অনেক কষ্টের মধ্যে আছি। কিবা কইরা পুলাডারে ডাক্তারি পড়ামু? ডাক্তারি পড়াইতে পারমু কিনা তাও জানি না। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমগর কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক স্যারসহ সমাজের গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গের কাছে সবুজের জন্য সাহায্য চাই। 

সবুজের মা সুফিয়া বেগম বলেন, দুই পুলারে অনেক কষ্ট কইরা পড়ালেখা করাইতাছি। অনেক সময় না খাইয়া থাকি।  আমগর পুলাডা পড়াশোনা কইরা ডাক্তরি পড়ার সুযোগ পাইছে। এখন পুলাডারে ভর্তির জন্য টেহা কুনু পামু?

আশরাফুল ইসলাম সবুজ বলেন, নিজস্ব চেষ্টায় অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করেছি। স্কুল ও কলেজের স্যাররা আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছে। অনেক সময় টাকার অভাবে বই কিনতে পারিনি। অন্যের বই পড়েছি। মেডিকেলে পড়ার জন্য যে টাকা লাগবে তা আমার পরিবারে পক্ষে বহন করা সম্ভব না। এ জন্য আমি সমাজের বিত্তবানদের নিকট সহযোগিতা কামনা করি।

ধনবাড়ী মডেল কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক এসএম মাসুদ কবির জানান,  সবুজ সব ক্লাসেই ভালো ফলাফল করত। সে একজন মেধাবী শিক্ষার্থী। দরিদ্রতার মাঝে পড়াশোনা চালিয়ে সে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। সবুজের পরিবার অসচ্ছল। আমরা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ওকে পড়ালেখার জন্য সহযোগিতো করেছি। তার সাফল্য কামনা করি। মেডিকেলে ভর্তি সুযোগ পাওয়ায় আমরা গর্বিত। ওর পরিবার দরিদ্র হওয়ায় মেডিকেলে পড়াশোনা করার জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত।

আপনার মন্তব্য লিখুন...

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মসজিদ কর্তৃপক্ষকে মারধরের হু সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত এসআই : গ্রেফতার ১৬ মির্জাপুরে গরীব ও দুস্থ মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ মির্জাপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ এক পরিবারের ৪জন আহ মির্জাপুরের বাঁশতৈলে ৮টি অবৈধ কয়লার চুল্লি ধ্বংস ধনবাড়ীতে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত চলন্ত ট্রেনের ছা‌দ থে‌কে যাত্রীর মর‌দেহ উদ্ধার নাগরপুরে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার দিলেন তারানা হালিম বঙ্গবন্ধু সেতুতে একদিনে ৩কোটি টাকার টোল আদায় ''মানুষের কল্যাণে মানুষ'' ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ঈদ সামগ্র ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ১৭ কিলোমিটার এলাকা ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুড সাইন্স এন্ড টেকনোলজি বা ফুড টেকনো ঈদের বাজার নিয়ে এবার বাড়ি ফিরবে না মেহেদী ৩২ ঘন্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু পাড় হয়েছে প্রায় ৪২ হাজার পরিবহ পীর শাহজামান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে ইফতার মাহফ

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি