টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের শিবনাথ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বাস কোচ মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড়মনি, পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমিনুর রহমান আমিন, শহর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ মিজানুর রহমান লিটন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান খান বিপ্লব, শহর আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মানিক সিকদার প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, ফারুক হত্যা মামলায় আসামীরা এখনো পলাতক রয়েছেন। এই হত্যা মামলার আসামীরা এখন শান্ত টাঙ্গাইলকে আবারো অশান্তিতে পরিনত করতে চায়। তাই আমরা সকল আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারে পুলিশের কাছে আবেদন করছি।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে গোয়েন্দা পুলিশ রাজা ও মোহাম্মদ আলীর নামক দুইজনকে ২০১৪ সালের গ্রেপ্তার করে। ওই দুই আসামীর জবানবন্দিতে এই হত্যার সাথে টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের তৎকালিন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা এবং তার অপর তিন ভাই পৌরসভার তৎকালিন মেয়র শহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকণ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। তার পরেই আমানুর ও তার ভাইয়েরা আত্মগোপনে চলে যান।
২২ মাস পলাতক থাকার পর আমানুর আদালতে আত্মসর্মপন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। প্রায় দুই বছর হাজতে থাকার পর তিনি জামিনে মুক্ত হন। তবে তার অপর তিন ভাই এখনো পলাতক রয়েছেন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...