টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পুর্বশত্র“তার জের ধরে মিজানুর রহমান ওরফে জুয়েল (২৩) নামে এক কোরআনে হাফেজকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
হাফেজ জুয়েল উপজেলা সদরের রাজনগর গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
এ বিষয়ে জুয়েলের পিতা আনোয়ার হোসেন ১১ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করলে আসামিদের পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ১৬ নভেম্বর দুপুরে মিজানুর রহমান জুয়েল উপজেলা সদরের রাজনগর লালু মার্কেটের সামনে আসলে পূর্বশত্র“তার জের ধরে একই গ্রামের ইলিয়াস, নুরু, জাহাঙ্গীর, সিরাজ, রায়হান, আয়নাল, আতাউল¬াহ, সেলিম, সাইফুল, বাছেদ ও বেলাল পরিকল্পিতভাবে রাম দা, হকিস্টিক, লোহার রড ও শাবল ইত্যাদি মারাত্মক অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাকে ঘেরাও করে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।
তাদের আঘাতের এক পর্যায়ে জুয়েল অচেতন অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা তাকে মৃত ভেবে চলে যায়। এ সময় জুয়েলের কাছে থাকা একটি স্যামসং গ্যালাক্সি মোবাইল সেট ও নগদ ২০ হাজার টাকাও তারা লুটে নেয়।
পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে পুলিশে খবর দিলে মির্জাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর অবস্থায় জুয়েলকে উদ্ধার করে জামুর্কীস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করে।
সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য জুয়েলকে কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বর্তমানে সে কুমুদিনী হাসপাতালে অর্থপোডিক বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত জুয়েলের পিতা আনোয়ার হোসেন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মির্জাপুর প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের কাছে বলেন, জুয়েল এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। তার চিকিৎসায় এ পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার১৪ দিন অতিবাহিত হলেও অজ্ঞাত কারণে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানা উপ পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল আলম বলেন, মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...