টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে এক পরাজিত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ এবং ইউএনও অফিস ভাংচুরের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। এতে ২২ জনের নাম উল্ল্যেখসহ অন্তত অজ্ঞাত তিন শতাধিক লোক আসামী করা হয়েছে।
দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন জানান, সরকারী অফিসে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ বাদি হয়ে গতরাতে দুটি পৃথক মামলা করা হয়। এতে ২২ জনের নাম উল্ল্যেখ করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাত তিন শতাধিক লোককে আসামী করা হয়।
গতকাল রোববার সদ্য সমাপ্ত দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন আজাদের সমর্থকরা পুনরায় ভোট গনননার দাবিতে উপজেলা পরিষদের সামনে মিছিল বের করে। এক পর্যায়ে তারা নির্বাচন অফিস ও ইউএনও অফিস ঘেরাও করে। পুলিশ বাঁধা দিলে সংঘর্ষ বাঁধে। বিক্ষুদ্ধরা ইউএনও অফিসের নীচতলায় ব্যপক ভাংচুর চালায়। সেখানে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে পুড়িয়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। আহতদের মধ্যে তিনজনকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গত শনিবার দেলদুয়ার উপজেলার আটটি ইউনিয়নে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মল্লিক বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়। এ নির্বাচনে সাজ্জাদ হোসেন আজাদ পরাজিত হন। এরপর থেকেই তিনি পুনরায় ভোট গননার দাবি জানান পরাজিত প্রার্থী।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...