টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা বাইপাস থেকে অপহরনকারী চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-১২ এর সদস্যরা।
সোমবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হচ্ছে সদর উপজেলার কাকুয়া গ্রামের নাজমুল হাসান সুমন (৩০) ও রাঙ্গাচিরা গ্রামের রহিম বাদশা।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ১২ টাঙ্গাইল সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার বীনা রানী দাস জানান, রংপুর সদরের নিউ আদর্শ পাড়ার মোঃ ফারুক হোসেন ও তার ছেলে ফাতিন হাসনাত (১৭) টাঙ্গাইল শহরের পূর্ব আদালত পাড়ার ভাড়াটিয়া বাসায় থাকেন। গত ১৫ মার্চ (বুধবার) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রংপুর যাওয়ার জন্য ঘারিন্দা বাইপাসে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
৯ টার দিকে সিলভার রঙের একটি প্রাইভেটকারে ৫জন অজ্ঞাতনামা লোক তাদের প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে ঢাকার দিকে যেতে থাকে। তারা অপহৃত ফারুক ও তার ছেলেকে হাত-পা বেঁধে ভয়ভীতি দেখিয়ে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে এক লাখ টাকা নির্ধারণ করে কয়েকটি বিকাশ নম্বর দেয়।
ফারুক হোসেন তার কয়েকজন আত্মীয়ের সাথে যোগাযোগ করে ৪০ হাজার টাকা সেই সব বিকাশ নম্বরে পাঠায়। বাকী ৬০ হাজার টাকার পাঠানোর জন্য অপহরনকারীরা ফারুক হোসেনকে ঘারিন্দা বাইপাসে ছেড়ে যায়।
তিনি ছাড়া পেয়েই র্যাব কার্যালয়ে এসে অভিযোগ করেন। পরে বিকেলে অপহরণকারীরা আশেকপুর বাইপাসে এলে র্যাব তাদের ঘেরাও করে মোঃ নূর আলম (১৮) নামের এক অপহরনকারীকে আটকসহ অপহৃত ফাতিন হাসনাতকে উদ্ধার করে।
এর সূত্রধরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে ঘারিন্দা বাইপাস এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাজমুল হাসান সুমন ও রহিম বাদশাকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা বাবা-ছেলে অপহরনের কথা স্বীকারা করেছে।
বাকীদের আটকের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...