টাঙ্গাইলের তমা আক্তার। যার মুখের বাঁ পাশ আক্রান্ত হয়েছে একখন্ড মাংসপিন্ডে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মাংসও বাড়ছে, বাড়ছে তার অস্বস্থি আর যন্ত্রণা। চিকিৎসকরা বলছেন, তমা ‘ভাসকুলার ম্যালফরমেশন’ রোগে আক্রান্ত। যা রক্তনালী টিউমার হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসায় এ রোগ নিরাময় সম্ভব।
বুধবার তমাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখে ‘ভাসকুলার ম্যালফরমেশন’ রোগে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন।
তমাকে ঢাকা নিয়ে আসার ব্যবস্থা করে দেন টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সায়মা আক্তার।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানোসহ অন্যান্য বিষয়ে সহযোগিতা করে অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডি ডটকম। চিকিৎসক তমাকে দেখার পর তার এমআরআই, এমআরএ ও রক্ত পরীক্ষা দিয়েছেন। এসব পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া পর তমার চিকিৎসার পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
বুধবার প্রাথমিক পরীক্ষার পর প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগের প্রধান ড. ইকবাল মাহমুদ চৌধুরী জানান, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় তমার এই রোগটি ‘ভাসকুলার ম্যালফরমেশন’ বা রক্তণালী টিউমার হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসায় এ রোগ নিরাময় সম্ভব।
তিনি বলেন, বেশিরভাগ সময়েই রোগীরা জন্ম থেকেই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। তিন থেকে পাঁচ বছরে রোগের আকার বাড়ে। ৯ থেকে ১২ বছরে অনেকের একেবারেই কমে যায়। আর যাদের না কমে তাদের মুখের আকার তমার মত এমন হয়ে যায়। দৈহিক বৃদ্ধির সাথে সাথে মাংসপিন্ডের আকারও বাড়তে থাকে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা করলে এই রোগ দ্রুত উপশম সম্ভব। কিন্তু তমার ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন হয়ে যাওয়ায় এই রোগ নিরাময়ে একটু সময় লাগবে।
ইকবাল মাহমুদ জানান, আমাদের দেশেই বেশ কয়েকটি ধাপে এই রোগের চিকিৎসা করা হয়। ইঞ্জেকশন প্রয়োগে তমার টিউমারের আকার কমিয়ে আনা হবে। প্রতিটি ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর তিন থেকে পাঁচ মাস অপেক্ষা করতে হবে। এভাবে টিউমারের আকার ছোট হয়ে আসার আগ পর্যন্ত চিকিৎসা চলবে। এরপর বাকি অংশ অপারেশনের মাধ্যমে অপসারণ করা হবে। এই পদ্ধতিতে করলে মুখে দাগ থাকবে না। কিন্তু এখনই যদি অপারেশন করা হয় তাহলে মুখে বড় ধরনের দাগ থেকে যাবে।
তমা টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার যোশীহাটি পশ্চিম পাড়া গ্রামের দরিদ্র কৃষক আতাহার আলী ও শারমিন বেগম দম্পতির মেয়ে। সে এবার মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট তমা । তমার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দিতে অক্ষম তমার অসহায় বাবা-মা। তমাকে পুরোপুরি সুস্থ করে তুলতে অন্তত চার লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন বলে জানিয়েছে তার পরিবারের সদস্যরা।
কোন হৃদয়বান ব্যক্তি তমার চিকিৎসায় সহযোগিতা করতে চাইলে তমার বাবার ব্যবহৃত ০১৭৪৭-২৪৪৯০৬ নাম্বারে বিকাশ করতে পারেন। এছাড়া ব্যাংক একাউন্টেও দেশ ও বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতে পারেন। টাকা পাঠানোর ঠিকানা- শারমিন আক্তার, একাউন্ট নম্বর- ৩৪০২০৩৪৩, অগ্রনী ব্যাংক লিমিটেড, আইশরা ব্রাঞ্চ, বাসাইল, টাঙ্গাইল।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...