ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে প্রায় ১৭ ঘন্টার যানজটে নাকাল হতে হয়েছে হাজারো যাত্রীকে।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে মহাড়কের কালিয়াকৈর উপজেলার বংশাই ব্রিজের ওপর ও ধেরুয়া এলাকায় পৃথক দু’টি যাত্রীবাহি বাস বিকল হলে এই যানযটের সূত্রপাত হয়। এক পর্যায়ে যানজট কালিয়াকৈর চন্দ্রা থেকে মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী পর্যন্ত বিস্তৃতি ঘটে। তীব্র এই যানজটে আটকা পড়ে শত শত যানবাহনের হাজারো যাত্রীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
রাতে বিকল হওয়া বাস দুটি সড়ানো হলেও সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় মহাসড়কে যানবাহনে চাপ বৃদ্ধি পায়। এতে করেও যানজটের সৃষ্টি হয়।
রাত ১২টা থেকে মহাসড়কের উভয় দিকে থেমে থেমে যানবাহন চলাচল শুরু হলেও বেশিক্ষণ চলাচল করেনি। পরে রাত একটা থেকে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন থেমে থেমে আবারও চলাচল করে। কিন্ত ঢাকাগামী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শুক্রবার সকালের দিকে মহাসড়কের দুইপাশেই যানচলাচলা শুর হলেও এগারোটার দিকে কালিয়াকৈর উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার একটি জুট মিলের গোদাম ঘরে আগুন লাগলে ঢাকার দিকে প্রায় দুই ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে বলে কালিয়াকৈর থানা সূত্র জানিয়েছেন।
এতে মহাসড়কে যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। দীর্ঘ প্রায় ১৭ ঘন্টা পর দুপুর দুইটার দিকে মহাসড়কে যানচলাচল স্বভাবিক হয়।
দীর্ঘ সময় এই যানজটে আটকা পড়ে শত শত যানবাহনের হাজারো যাত্রীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এ ব্যাপারে মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খলিলুর রহমান পাটোয়ারী জানান, দুপুর দুইটার পর থেকে মহাসড়কে স্বাভাবিকভাবেই যানবাহন চলাচল করছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...