টাঙ্গাইলের মধুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনোত্তর দুই দিনের সংহিংসতায় দুই গ্রুপের ১২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আশংকাজনক অবস্থায় আহত এক নারীকে উন্নত চিকিৎসা দিতে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
রোববার সকালে আগের দিনের সহিংতার জেরে গোলাবাড়ী ইউনিয়নের চাকন্ড( মূলবাড়ি) গ্রামে মেম্বার পদের বিজয়ী ও বিজিত গ্রুপের মধ্যে এ সহিসংতা ঘটে।
জানা যায়, নির্বাচনের দিন বিকেলে গোলাবাড়ী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের দুই মেম্বার প্রার্থী আবু হানিফ (তালা- প্রতীক) ও আব্দুস সামাদ (টিউবওয়েল-প্রতীক) সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি বেধে যায়। এসময় আবু হানিফ গ্রুপের বেলাল হোসেনের গর্ভবতী স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৩০) ও বেলালের ছোট ভাই রনজু(২৫) আহত হন।
এরই জের ধরে রোববার সকালে বিজয়ী মেম্বার হানিফ গ্রুপের লোকজন বিজিত সামাদ গ্রুপের সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালান।
এসময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে বিজিত গ্রুপের আমজাদ হোসেন (৫৫), তার স্ত্রী মিনারা খাতুন (৪৮), ছেলে মঞ্জুরুল হক মিন্টু(৩০), মেহেদী হাসান সবুজ (২২) ও রীণা খাতুন (৩৫) এবং বিজয়ী গ্রুপের বেলাল হোসেন (৩৭), সুরুজ মিয়া (২৩), আলাউদ্দিন (২৪), আমিনুল হক (২৬) ও জরিনা বেগম (৬০) আহত হন।
আহতদের মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক আশংকাজনক হওয়ায় বিজিত গ্রুপের রীণা খাতুনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বিজিত পক্ষের আহত মঞ্জুরুল হক মিন্টুও বিজয়ী মেম্বার পক্ষের বেলাল থানায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
তবে মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে এ রিপোর্টলেখা পর্যন্ত মামলা হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...