১১:৩২ এএম | টাঙ্গাইল, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া

শিক্ষা ও সেবামুলক

সন্তোষে ভাসানীর হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানগুলো বিলুপ্তির পথে

মোস্তফা কামাল নান্নু | টাঙ্গাইল২৪.কম | বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৬ | | ১৬৩১
ফাইল ছবি।
, টাঙ্গাইল :

১৭ নভেম্বর। মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী।

জাতীয় রাজনীতিতে ভুমিকা রাখার পাশাপাশি ভাসানী প্রতিষ্ঠা করেন শিক্ষা ও সেবামুলক অনেক প্রতিষ্ঠান। টাঙ্গাইলের সন্তোষে তিনি অন্তত ৩৩টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন। যদিও অযত্ব অবহেলার কারনে অনেক প্রতিষ্ঠানই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

মাজারের দক্ষিন পাশে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর প্রতিষ্ঠিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় টেকনিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাস। কলেজের একটি ভবনের ছয়টি কক্ষের মধ্যে চারটিই পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। খুবই ঝুঁকির মধ্যে এই ভবনে শিক্ষার্থীরা লেখা পড়া করছে।

কলেজের শিক্ষার্থীরা জানায়, মওলানা ভাসানীর প্রতিষ্ঠিত এই কলেজে লেখাপড়ার করা সুযোগ পেয়ে খুবই গর্ববোধ করি আমরা। কিন্ত কষ্ট লাগে কলেজটির করুন অবস্থার জন্যে। এটি একটি টেকনিক্যাল কলেজ। কিন্ত টেকনিক্যাল কোন সাপোর্ট নেয়। একটি মাত্র ল্যাবটরী দিয়ে পুরো কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় শিক্ষা গ্রহন করছে।

এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন জানান, ভাসানীর হাতে গড়া এ প্রতিষ্ঠানটি খুবই অবহেলিত অবস্থায় চলছে। কলেজের কোন সীমানা প্রাচীর নেই। ফলে খুবই অনিরাপদ পরিবেশে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়ালেখা করছে।

মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর জীবন শায়াহ্নে সন্তোষে বহু শিক্ষা, সেবা, ক্রীড়া ও উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।

প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় টেকনিক্যাল কলেজ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সরকারী বালিকা হাইস্কুল ও বালক হাইস্কুল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিশু স্কুল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তালিমাতে কোরান ও সুন্নাহ, ভোগ্যপণ্য সরবরাহ সমিতি, বহুমুখি কেন্দ্রিয় সমবায় সমিতি, ঐতিহাসিক দরবার হল, একটি জামে মসজিদ, মুসাফির খানা, পীর শাহজামান মার্কেট, সরকারী মাতৃসদন কেন্দ্র, সরকারী পশু হাসপাতাল।

এছাড়া বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে রয়েছে- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সন্তোষ, সাপ্তাহিক হক কথা নামে পত্রিকা, শান্তি প্রেস, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সুচি শিশু স্কুল, পীর শাহজামান হোষ্টেল, শাহ এনায়েত উল্লাহ হোষ্টেল, মৎস্য খামার, তাঁত শিল্প, উদ্যান নার্সারী, গরুর খামার।

মওলানা ভাসানীর হাতে গড়া এসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে জানতে চাইলে ভাসানী ফাউন্ডেশনের সাধারন সম্পাদক ও ভাসানীর নাতি মাহমুদুল হক সানু বলেন, মওলানা ভাসানী একটি দর্শন নিয়ে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন। কিন্ত পৃষ্টপোষকতার অভাবে, বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতা না থাকায় ইতিমধ্যে ১৩ টি প্রতিষ্ঠান বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

এ ব্যপারে মওলানা ভাসানীর তৎকালীন একান্ত সচিব ও ভাসানী অনুসারী সৈয়দ ইরফানুল বারী বলেন, ভাসানী হুজুরের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলো টিকিয়ে রাখতে মওলানা ভাসানীর চিন্তাধারার সমন্বিত নেতৃত্ব প্রয়োজন। প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানই মওলানা ভাসানীর একেকটা অঙ্গের মতো বলেও মনে করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, মওলানা ভাসানী বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। পরিতাপের বিষয় তার মৃত্যর ৪০ বছর অতিবাহিত হলেও রাষ্ট্রিয়ভাবে পালন করা হয়না তার মৃত্যু বার্ষিকী।

দিনটি জাতীয়ভাবে পালনের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধও জানান ভাসানী অনুসারীরা।

আপনার মন্তব্য লিখুন...

টাঙ্গাইলে ৯৬৬ বোতল ফেনসিডিল সহ আটক ৪ গোপালপুরে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির কার্ড বিতরণ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে মাভাবি মির্জাপুরে খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল স্বাধীনতা দিবসে টাঙ্গাইলে 'সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন'এর গোপালপুরে কয়েলের আগুন পুড়লো গোয়ালের ১৪টি প্রানী টাঙ্গাইলে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত মাভাবিপ্রবি "বঙ্গবন্ধু পরিষদ" কর্তৃক মহান স্বাধীনতা দিব মির্জাপুরে ছিনতাইকালে ২ পুলিশ সদস্য গ্রেফতার গোপালপুরের যথাযথ মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত কালিহাতীতে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন টাঙ্গাইলে সাপ্তাহিক সমাজচিত্র পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষি নাগরপুরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন মাভাবিপ্রবিতে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত ধনবাড়ীতে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের উন্নয়নমূলক সভা

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি