টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এশিয়া খ্যাত কুমুদিনী হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার ১২০তম জন্মজয়ন্তী উৎসাহ উদ্দীপনা ও আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।
তার জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার মির্জাপুর গ্রামবাসী এবং কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কুমুদি হাসপাতালে রণদার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে কুমুদিনী হাসপাতাল, উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, ভারতেশ্বরী হোমস, নার্সিং স্কুল, নার্সিং কলেজ, রণদা নাট মন্দির সজ্জিতকরন এবং স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
বিকেল তিনটায় রণদার নিজ গ্রাম মির্জাপুরে রণদা নাট মন্দিরে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকার নটরডেম কলেজের অধ্যক্ষ রেভারেন্ড ফাদার হেমন্ত রোজারিও।
কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজিব প্রসাদ সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ভাষা সৈনিক প্রতিভা মুৎসুদ্দি, পৌরসভার মেয়র সাহাদৎ হোসেন সুমন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সাংবাদিক অধ্যাপক দুর্লভ বিশ্বাস, ক্রীড়াবিদ খন্দকার মুফাজ্জল হোসেন দুলাল, বোশ বিপ্লব কুমার, অধ্যাপক শিবপদ ঘোষ, নিরঞ্জন পাল সহ প্রমুখ।
সন্ধ্যায় ভারতেশ্বরী হোমসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন প্রার্থনা সভা, কেক কাটা ও ছাত্রীদের দেয়ালিকা উদ্বোধন করা হয়।
১৮৯৬ সারে উত্থান একাদশীতে এ মহামনীষির জন্ম। তার মায়ের নাম কুমুদিনী এবং বার নাম দেবেন্দ্র নাথ সাহা। শিশুকালেই পিতা মাতাকে হারিয়ে অশিক্ষার অন্ধকারে আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। কঠিন অধ্যাবসায় আর অদম্য সাহসিকতা নিয়ে এগিয়ে যান তিনি।
জীবন সংগ্রামে জয়ী এই মহামানব জীবনের সমস্ত উপার্জিত অর্থ মানবতার কল্যাণে দান করে কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদারদের এ দেশীয় দোসরদের সহায়তায় রণদা প্রসাদ সাহা ও ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহা রবিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তার পর থেকে তাদের আর কোন সন্ধান মেলেনি।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...