টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ফাজিল হাটি ইউনিয়নের মুন্সি নগর গ্রামের এক কম্পিউটার ব্যবসায়ীকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
এই হত্যা চেষ্টার ব্যাপারে দেলদুয়ার থানায় গতকাল রবিবার(১৮ আগষ্ট) একটি অভিযোগ করতে গেলে থানায় অভিযোগ নিতে গড়িমসি করে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত এই ব্যাপারে কোন লিখিত অভিযোগ গ্রহন করা হয়নি বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়,ঢাকার মহাখালী ওয়ালেস রোডের কম্পিউটার গ্যালারী দোকানের মালিক কামরুল হাসান রতন(৩৫) এর বড় বোন রহিমা গত ১ আগষ্ট মৃত্যু বরন করেন। গত ১৬ আগষ্ট শুত্রবার এই উপলক্ষে ব্যবসায়ী রতন ও তার পরিবার গ্রামের লোক জনকে খাওয়ানোর আয়োজন করে।
শুক্রবার দিন ব্যাপী লোকজনকে খাওযানোর পর রাত ৯টার দিকে তিনি একটি চার চালা টিনের ঘরের বারান্দায় রুমে ঘুমতে যান। পরে রাত আনুমানিক ১২ দিকে তার বাসা থেকে ৩০০ ফিট দুরে এক ঘাসের ক্ষেত থেকে তাকে হাত-পা বাধা, গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দেলদুয়ার স্বাস্থ্য কমপ্লেস্ক পাঠায়।পরে রতনকে দেলদুয়ার থানায় নিয়ে গেলে থানায় কোন ধরনের অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। নানা রকম টাল বাহানা করে সোমবার দূপুর পর্যন্ত এই ব্যাপারে কোন লিখিত অভিযোগ গ্রহন করা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী রতনকে উদ্ধারকারী মোছাঃ আসমা খাতুন জানান, রাত ১২টা মতো হবে। আমরা মাত্র শুয়ে পড়েছি তখন শুনি একজন গোঙ্গাতে গোঙ্গাতে বলছে “জামাল আমারে বাঁচা”। এ শব্দ শুনে আমি ও আমার পরিবার তাড়াতাড়ি বাইরে বের হয়ে খোঁজা খুঁজির পর আমাদের বাসার সামনে আতোয়ারের ঘাসের জমিতে সদ্য খোড়া গর্ত থেকে তাকে হাত-পা বাধা, গলায় ওড়না পেছানো ও সারা গায়ে কাঁদা মাখা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করি।তার মাথা গর্তের মধ্যে ঢুকানো ছিল ।পরে তার পরিবারকে খবর দিলে পরিবারের সদস্যরা এসে তাকে নিয়ে যায়।
ব্যবসায়ী রতনের প্রতিবেশী সাবেক মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার আঃ লতিফ বলেন, ১৮ বছর যাবৎ রতনদের সাথে স্থানীয় গোলাম রব্বানীর ৯৬ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। রতন এর পরিবার ইতিমধ্যে আদালত থেকে ৩ বার রতনদের পক্ষে ডিগ্রি পেয়েছে। বর্তমানে রতনরা জমির দখলে রয়েছে ।আমার মনে হয়, জমিজমা সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে এই হত্যা চেষ্টা হতে পারে।
এ বিয়য়ে ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম রতন বলেন, আমি ঘখন ঘুমতে গিয়েছি, তখন রাত ৯টার মতো হবে। পরের দিন ঢাকা চলে যাবো বলে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ি। আমার চাচাত ভাই জামাল আমার সাথে শুবে বিধায় দরজা খুলেই ঘুমিয়ে পাড়ি। হঠাৎ মনে হয় আমার নাকের কাছে কেউ কিছু ধরলো। তার পরে আর কিছু মনে নেই। পরে ঘখন জ্ঞান এলো তখন দেখি আমি থানায়।
এ প্রসঙ্গে দেলদুয়ার থানার অফিসার ইন চার্জ এ কে সাইদুল হক ভূঁইয়া সরাসরি কিছু না বলে বলেন বিষয়টি আগে তদন্ত করা হবে। তার পর অভিযোগ নেওয়া হবে।
তিনি অভিযোগটি নিতে গড়িমসি করছেন কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি সরাসরি বলেন আপনারা যা মনে করেন তাই। যদি গড়িমসি মনে করেন তবে গড়িমসি। আপনারা যা করতে পারেন করেন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...