টাঙ্গাইলের নাগরপুরে স্বামীর লাশ দেখে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান নিহতের স্ত্রী হালিমা বেগম (৫৬)।
মাত্র এক ঘন্টার ব্যবধানে স্বামী -স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় স্বজন ও প্রতিবেশিদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শনিবার (১৭ আগষ্ট) রাতে উপজেলার ভাড়রা গ্রামে হৃদয়বিদারক ও মর্মস্পর্শী এ ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার ভাড়রা গ্রামের মো. আজমত মিয়া (৭০) শনিবার সন্ধ্যা সাতটায় নিজ বাড়ীতে বার্ধক্যজনিত রোগে মৃত্যু বরন করে। টাঙ্গাইল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্থানীয় সন্ত্রাসী হামলায় আহত মৃত আজমত মিয়ার একমাত্র ছেলে সুমন (২০) ও তার মা বাড়িতে আসছিল। পথিমধ্যেই স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ পান তিনি।
রাতে বাড়ীতে এসে স্বামীর লাশ আর আহত ছেলের অবস্থা ভেবে হালিমা বেগম হার্ট অ্যাটাক করে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ সময় স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে সেখানকার আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে। হৃদয় বিদারক দৃশ্যে উপস্থিত জনতাও চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। স্থানীয় সমাজ সেবক আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম জানান, নিহত আজমত মিয়া এলাকার অত্যান্ত নিরিহ ব্যক্তি ছিল।
একই দিনে একঘন্টা ব্যবধানে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু একটি মর্মস্পর্শী ঘটনা। নিহত হালিমার ভাই আব্দুর রহিম মাষ্টার জানান, একদিকে স্বামীর লাশ অন্যদিকে স্থানীয় সন্ত্রাসী শাহীন, রিপন মিয়া ও আলাউদ্দিন দ্বারা হামলায় আহত একমাত্র ছেলে সুমনকে দেখে প্রচন্ড মানসিক আঘাত পান। এ ঘটনায় তার হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যায়। ওই রাতেই সামাজিক কবরস্থানে স্বামী-স্ত্রীর লাশ দাফন করা হয়।
এ ব্যাপারে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলম চাঁদ বলেন, ভাড়রা গ্রামে হৃদয় বিদারক স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনে তাৎক্ষনিক ভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহতের ছেলে সুমনের ওপর হামলা ঘটনায়
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...