টাঙ্গাইলের নাগরপুরে চাঞ্জল্য হত্যার মো. মাসুদ মিয়া (২০) নামের মাদকাসক্ত ছেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তারই পিতা ও সহোদর বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় পুলিশ মুল ঘাতক পলাতক বড় ভাই মতিয়ার রহমান (৩৫)কে গ্রেফতার করে নাগরপুর থানা পুলিশ। নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলম চাঁদ গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার সকালে মিজাপুর উপজেলা বানাইল ইউনিয়ন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
নাগরপুর থানার উপ-পরিদর্শক এস আই মো. ইদ্রিস আলী জানান, নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলম চাঁদের নিদের্শে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মিজাপুর উপজেলা বানাইল ইউনিয়নের টেগুরী গ্রামের মোতালেফের বাড়ীর সামনে কাচা রাস্তা থেকে ঘাতক মতিয়ার রহমানকে গ্রেফতার করি। বুধবার সকালে ঘাতক মতিয়ার রহমানকে রিমান্ড চেয়ে টাঙ্গাইল কোর্টে প্রেরণ করা হয়। বিজ্ঞ আদালত হত্যার বিষয়টি আমলে নিয়ে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলম চাঁদ জানান, এস আই ইদ্রিস আলী একজন চৌকশ অফিসার তার দূর্রসাহসী ভুমিকা রাখায় হত্যায় জড়িত থাকার মুল আসামী মতিয়ার রহমান কে গ্রেফতার করতে সাক্ষম হয়েছে এ অফিসার।
উল্লেখ্যঃ- উপজেলার কাশাদহ গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মফিজ উদ্দিনের মাদকাসক্ত ছেলে মাসুদ শুক্রবার সকালে তার বাবার কাছে ১ লক্ষ টাকা দাবী করলে মফিজ উদ্দিন তা দিতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে পিতা পূত্রের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মাদকাসক্ত মাসুদ উত্তেজিত হয়ে বাড়ির ফ্রিজ ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এ সময় পিতা মফিজ উদ্দিন ছেলেকে নিবৃত করতে চড় থাপ্পড় মারে। এতে সে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে বড় ভাই মতিয়ার কোদালের ঘাড়া দিয়ে মাদকাসক্ত মাসুদকে উপর্যপুরি পেটালে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্বজনরা অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...