টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনার ৬দিন পার হলেও পুলিশ কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
ধর্ষিতা উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের মঈননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় বুধবার ধর্ষিতার মা সালেহা বেগম বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় তিনজনকে আসামী করে মামলা করেন। মামলা নম্বর ১১।
রোববার বিকেলে ধর্ষিতা টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সানজিদা সারোয়ার কাছে ২২ ধারায় জবানবন্ধি দিলে আদালত তার জবানবন্ধি রেকর্ড করেন। জবানবন্ধি শেষে মা সালেহা বেগমের জিম্মায় মেয়েকে বুঝিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাত ৯টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে যায় শিশুটি। এসময় রাজাবাড়ি গ্রামের মো. রিপন, মো. মনির হোসেন ও পাশের গবড়া গ্রামের খোকন মিয়া ওই ছাত্রীর মুখে গামছা দিয়ে চেপে জোর করে তুলে নিয়ে যায়।
পরে তারা পাশের একটি জঙ্গলে নিয়ে গণধর্ষণ করে শিশুটিকে ফেলে পালিয়ে যায়। ফিরতে দেরি হওয়ায় মেয়েটির মা তাকে খুঁজতে গিয়ে পাশে জঙ্গলে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
পরে শিশুকে উদ্ধার করে প্রথমে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে গাজীপুর সদর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শুক্রবার ধর্ষিতাকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। শনিবার কুমুদিনী হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে পুলিশী পাহারায় সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন আদালতে শিশুটির জবানবন্ধি দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মেয়েটিকে তার মায়ের জিম্মায় দেয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...