টাঙ্গাইলের আলোচিত জেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার দুই আসামী সাবেক কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান মাসুদ ও নুরু আদালতে আত্মসমর্পন করেছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় টাঙ্গাইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পন করে।
টাঙ্গাইল কোর্ট ইন্সপেক্টর আনোয়ারুল ইসলাম জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় টাঙ্গাইল জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে তারা আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন। জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়া তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ এর গুলিবিদ্ধ লাশ তাঁর কলেজপাড়া এলাকার বাসার সামনে থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর নিহত ফারুক আহমদ এর স্ত্রী নাহার আহমদ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে। এই মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৪ সালের ২৭ আগষ্ট আনিসুল ইসলাম রাজা ও ৫ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদ আলী নামের দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
পরে তাদের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়া হয়। এ জবানবন্দিতে টাঙ্গাইল-৩ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি আমানুর রহমান খান রানা, তাঁর ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা সহ এমপির ঘনিষ্ঠ কয়েকজন এই হত্যাকান্ডে জড়িত বলে এ তথ্য পায় ডিবি পুলিশ।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশ ১৪ জনকে আসামী করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে আসামী আনিসুল ইসলাম রাজা, মোহাম্মদ আলী ও সমির টাঙ্গাইল জেলহাজতে রয়েছে।
৬ এপ্রিল আদালত অভিযোগ পত্র গ্রহন করে পলাতক আমানুর রহমান খান রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়। ১৭ মে ১০ জনের বিরুদ্ধে হুলিয়া ও মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত। ২০মে পুলিশ সাংসদের টাঙ্গাইল শহরস্থ বাসভবনে অভিযান চালিয়ে মালামাল জব্দ করে। সর্বশেষ আসামীরা হাজির না হওয়ায় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামীলীগ নেতা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামী টাঙ্গাইল-৩ ঘাটাইল আসনের এমপি আমানুর রহমান খান রানা আদালতে আত্মসমর্পন করার পর জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়া। ১৯ সেপ্টেম্বর তাকে কাশিমপুর কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...