১০:০৩ পিএম | টাঙ্গাইল, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া

নদী ভাঙ্গনে নিঃস্ব ১০ টি  পাটিয়াল পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার | টাঙ্গাইল২৪.কম | বুধবার, ৩১ জুলাই ২০১৯ | |
, টাঙ্গাইল :

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে এ্যালানজানি নদী ভাঙ্গনে নিঃষ হয়েছে ১০টি হিন্দু পাটিয়াল পরিবার।

এ ছাড়া আরো ৫টি পরিবার ইতিমধ্যে ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। এখনই ব্যবস্থা নেওয়া না হলে এই ৫ পরিবার সহ আটিয়া ইউনিয়নের হিঙ্গানগর, বিন্দুরিয়া, চরপাড়া এলাকার অনেক পাটিয়াল  পরিবার নদী ভাঙ্গনে নিঃষ হয়ে যাবে। টাঙ্গাইলের বেত শিল্পের অন্যতম এলাকা হিঙ্গানগর। ফলে পরিবার গুলো নিঃস্ব হলে হুমকির মুখে পড়তে পারে টাঙ্গাইলের বেত ও শীতল পাটির ঐহিত্য। 

দীর্ঘ দিন ধরে শীতল পাটি বুনে পরিবার চালান হিঙ্গানগর গোস্বামী পাড়ার মিতালী  রানী নন্দী। মিতালী  ইতিমধ্যে এ্যালানজানি নদী ভাঙ্গনে বাড়ী ঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে অন্যের বাড়ীতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বলেন, ৫ বছর হলো আমার স্বামী প্যারালাইসিস হয়ে বিছানায়। আমার দু’টি ছোট বাচ্চা। এতো দিন আমার আয়ে সংসার চলতো। আজ নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে সর্বস্ব হারিয়ে পথের ভিখারি হয়েছি। জানিনা কিভাবে এদের সামলাব। নিশ্বাস ভারী হয়ে আসে তার। আর কিছু বলতে পারেন না তিনি।

একই এলাকার ভাগ্য চন্দ্র দেব বলেন, ১০ বাড়ি ইতিমধ্যে নদী গর্ভে চলে গেছে। আরো ৫ টি বাড়ী ভাঙ্গন কবলিত।দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে এই পরিবার গুলোও নিঃস্ব হয়ে যাবে। এলাকার ইউপি মেম্বার একবারও আমাদের দেখতে আসেনি । আমরা কোন ধরনের সাহায়্যে  সহযোগিতা এখন পর্যন্ত  পাইনি।  

আটিয়া ইউনিয়নের স্থানীয় ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার  পরিমল চন্দ্র  দে জানান, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে। তিনি ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন।

আটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী সিরাজুল হক মল্লিক এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রতিবছর এ্যালানজানি নদীতে পানি এলে আটিয়া ইউনিয়নের হিঙ্গানগর, বিন্দুরিয়া, চর পাড়া, গড়াসিন এলাকা ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। গত বছর গড়াসিন এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা সহ বেশ কিছু পরিবার নদী ভাঙ্গনে  সর্বস্ব হারিয়েছে। এ বছর হিঙ্গানগর এলাকায় সবচেয়ে বেশী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।হিঙ্গানগর এলাকাটি টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী শীতল পাটি ও বেত শিল্পের জন্য বিখ্যাত।  তাই এই এলাকাটি রক্ষা করা টাঙ্গাইলের সকলের দায়িত্ব। এরা গরীর হলেও মান সন্মান নিয়ে বসবাস করতে চায়। তাই সরকারের উচিৎ হবে এদের রক্ষা করা। আমি দ্রুত এই এলাকায় বাঁধ নির্মানের বাদী জানাচ্ছি।  

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সিরাজুল ইসলাম  এ প্রসঙ্গে বলেন, আমি বিষয়টি সর্ম্পকে জানি। যত দ্রুত সম্ভব এই এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। 

যেহেতু এই এলাকা টাঙ্গাইলের বেত শিল্পের জন্য বিখ্যাত তাই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। 
 
 

আপনার মন্তব্য লিখুন...

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মসজিদ কর্তৃপক্ষকে মারধরের হু সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত এসআই : গ্রেফতার ১৬ মির্জাপুরে গরীব ও দুস্থ মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ মির্জাপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ এক পরিবারের ৪জন আহ মির্জাপুরের বাঁশতৈলে ৮টি অবৈধ কয়লার চুল্লি ধ্বংস ধনবাড়ীতে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত চলন্ত ট্রেনের ছা‌দ থে‌কে যাত্রীর মর‌দেহ উদ্ধার নাগরপুরে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার দিলেন তারানা হালিম বঙ্গবন্ধু সেতুতে একদিনে ৩কোটি টাকার টোল আদায় ''মানুষের কল্যাণে মানুষ'' ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ঈদ সামগ্র ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ১৭ কিলোমিটার এলাকা ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুড সাইন্স এন্ড টেকনোলজি বা ফুড টেকনো ঈদের বাজার নিয়ে এবার বাড়ি ফিরবে না মেহেদী ৩২ ঘন্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু পাড় হয়েছে প্রায় ৪২ হাজার পরিবহ পীর শাহজামান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে ইফতার মাহফ

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি