শরীরে জ্বর নিয়ে গত প্রায় ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ২২ জন রোগী টাঙ্গাইলের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এদের মধ্যে অন্তত ১১ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সফিকুল ইসলাম সজিব।
হাসপাতালে মেডিসিন ওয়ার্ডে ঘুরে সাতজন রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। অপর চারজন বিভিন্ন ক্লিনিক অথবা অন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু আক্রান্তরা হলেন, গোপালপুর থানার মুকিন্দবাড়ী গ্রামের রাসেল, নাগরপুর থানার ঘুনিপাড়া গ্রামের আশিক, সদর থানার বেলতা গ্রামের তানভির হাসান, বিশ্বাস বেতকা গ্রামের আব্দুস সালাম খান, মির্জাপুর থানার গুল্লি গ্রামের জোবায়ের, দেলদুয়ার থানার এলাসিন গ্রামের শুভ সাহা, বাসাইল থানার বাথুলী সাদী গ্রামের মিজান খান। এরা সবাই ঢাকায় কাজ করতে গিয়েছিল। বাড়িতে এসে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে পরীক্ষা নিরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পরে।
এ ব্যাপারে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সফিকুল ইসলাম সজিব বলেন, আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে বেশির ভাগই সবাই ঢাকা থেকে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে আসেন। বাড়িতে আসার পর রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। হাসপাতালে ডেঙ্গুরোগ নির্নয়ের কোন যন্ত্রপাতি না থাকায় চিকিৎসা সেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে। এ অবস্থায় চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম ক্ষেতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এছাড়াও জ্বর হলেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে এমন আতংক বিরাজ করছে জনগণের মাঝে। এতে আতঙ্কিত না হয়ে ডাক্তারের নিকট আসার জন্য অনুরোধ করা হইলো।
এদিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগ নির্নয়ের কোন ব্যবস্থা না থাকায় টাঙ্গাইলে ক্লিনিকগুলোর উপর ভরসা করতে হচ্ছে জ্বরে আক্রান্তদের। শহরে মাত্র ৩/৪টি ক্লিনিকে ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষা হচ্ছে। প্রতিদিনই ভীর বাড়ছে ওই ক্লিনিকগুলোতে। এই সুবাধে ক্লিনিকগুলো প্রতি রোগীর কাছ থেকে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন ১২শ টাকা করে নিচ্ছে। পরীক্ষার নামে দিগুন পরিমান টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ক্লিনিকগুলোর বিরুদ্ধে।
তবে ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহিম রিপন বলেন, ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য সরকারি ভাবে ৫শ’ টাকা নেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। এর বাইরে টাকা নিলে ওই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...