অস্বাভাবিকভাবে টাঙ্গাইলের যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তারাকান্দি-ভূঞাপুর সড়ক ভেঙে সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধ হিসেবে ব্যবহৃত এই সড়কটি ৬০ মিটার অংশ ধসে গেছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার সময় ওই সড়কের ভূঞাপুর উপজেলার টেপিবাড়ি নামক স্থানে এ ভাঙনের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকাল থেকেই রাস্তাটি মেরামত কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনীর একটি দল। পানি সম্পদ মন্ত্রণায়লের সচিব কবীর বিন আনোয়ার ভাঙ্গন পরিদর্শন করে দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিলের প্রবল স্রোতের মুখে মেরামত কাজ করতে সময় লাগছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ।
টাঙ্গাইল অংশে যমুনার নদীর পানি শুক্রবার বিপদসীমার ৯৯ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও আজ শনিবার সকালে ৬ সে.মি. কমে বিপদ সীমার ৯৩ সে.মি. দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এতে টাঙ্গাইল সদর, ভূঞাপুর, গোপালপুর, কালিহাতী, নাগরপুর, দেলদুয়ার উপজেলার প্রায় ১৭০টি গ্রামের কয়েক লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। গবাদিপশু নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।
জেলার বন্যা আক্রান্ত এলাকায় ৬৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে (মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৯টি এবং প্রায় ৫৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়) ও ১৯১২ হেক্টর ফসলি জমি এবং সবজি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...