টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা পরিষদের পুরোনো ভবনটি এখন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ছাদে মারাত্মক ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই খসে পড়ছে বড়ো আকারের পলেস্তারা। আহত হচ্ছেন কাজে আসা লোকজন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন অফিস স্টাফরা।
জানা যায়, ১৯৭২ সালে তদানীন্তন থানা পরিষদের কাজের জন্য এ দ্বিতল ভবনটি নির্মিত হয়। ৮৪ সালে এরশাদ আমলে উপজেলা পরিষদ চালু হলে পাশেই আরেকটি তিনতলা ভবন নির্মিত হয়। নতুন ভবনে উপজেলা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ অফিস স্থানান্তর হলেও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস, উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসসহ চারটি অফিস পুরোনো ভবনেই থেকে যায়। জীর্ণ ভবনটি দীর্ঘদিনেও সংস্কার হয়নি। ভবনের ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে। বৃষ্টিতে পানি চুঁয়ে পড়ে অফিসের ফাইলপত্র ভিজে যায়। কম্পিউটার রুম ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ভবনের বারান্দাসহ মূল অফিসে প্রায়ই বড়ো আকারের পলেস্তারা খসে পড়ে। উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে প্রতি মাসে অবসরভাতা উত্তোলনের জন্য আসেন শত শত বয়স্ক মানুষ। স্থানাভাবে বারান্দায় গাদাগাদি করে বসেন অথবা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। এদের ওপরই বেশিরভাগ সময় পলেস্তারা খসে পড়ার ঘটনা ঘটে।
অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক আজাহারুল ইসলাম জানান, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভঙ্গুর ছাদ বা বারান্দার নিচে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। সব সময় আতঙ্ক না জানি কখন পলেস্তারা বা ছাদ ধসে মাথার ওপর পড়ে।
উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার সুশীল চন্দ্র দাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, স্টাফরা সব সময় আতংকে থাকে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা কাজ করেন। উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। ভবনের দুরবস্থার কথা উপজেলা এলজিইডিকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ বিশ্বাস জানান, ভবন সংস্কার ও মেরামতের জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...