টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার বেটুয়াজানি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসউদ্দিন লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় সংলগ্ন নাগরপুর-মির্জাপুর ভায়া মোকনা সড়ক অবরোধ করে দোষীদের বিচারদাবী করেছে।
রবিবার (১৪ জুলাই) সকালে শিক্ষার্থীরা এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার ও দোষী ব্যাক্তিদের গ্রেফতারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে। পরে পুলিশ এসে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা তাদের অবরোধ উঠিয়ে নেয়।
সূত্রে জানা যায়, শফিকুলের লোকজন বেটুয়াজানী উচ্চ বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ঘেষে মূল সড়কের পাশে বেশ কয়েক বছর যাবৎ অবৈধভাবে দোকান করে আসছিল। শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে বিদ্যালয় কতৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পাকা সীমানা প্রাচীর নির্মান করতে গেলে প্রধান শিক্ষক ও দোকান মালিক পক্ষ শফিকুলের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শফিকুল তার লোকজন নিয়ে প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারীকে মারধোর করে। এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শামসউদ্দিন বলেন, আমাদের বেটুয়াজানী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালানা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে প্রাচীরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
উক্ত নির্মাণ কাজ করতে গেলে বেটুয়াজানী গ্রামের মৃত. মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম লোকজন নিয়ে নির্মাণ কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে আমাকে সহ আমার অফিস সহকারী রাইসুল ইসলাম এর উপর হামলা করে। পরে লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আমি নাগরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
অভিযুক্ত শফিকুলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি হামলার কথা অস্বীকার করে বলেন, যে দোকান ঘর বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভেঙ্গে প্রাচীর নির্মাণ করছিল তা আমাদের। আমাদের না জানিয়ে দোকান ভেঙ্গে দিয়ে প্রাচীর নির্মান করতে গেলে আমরা বাধা প্রদান করেছি মাত্র কারন বিদ্যালয়ের জমিদাতাও আমরা।
এ ব্যাপারে নাগরপুর থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা মন্ডল জানান, বেটুয়াজানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসউদ্দিনের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...