গেল দুই সপ্তাহ ধরে যমুনা নদীতে অব্যাহতভাবে তীব্র ভাঙন শুরু হলেও ভাঙনরোধে কার্যকর কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করায় হতাশা প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। প্রমত্তা যমুনা তার করাল গ্রাসে আঘাত হেনেছে কয়েকশ বছরের পুরাতন জনপদে।
ভাঙনে ইতোমধ্যে দুইশতাধিক ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। স্কুল, মসজিদ, মাদরাসা ও মন্দিরসহ কয়েক শতাধিক ঘরবাড়ি ভাঙন কবলে পড়েছে। সরেজমিনে টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কষ্টাপাড়া, খানুরবাড়ি ও ভালকুটিয়া এলাকায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। এতে মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে নিয়ে রাস্তায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। স্থানীয়দের অভিযোগ বিগত ২০১১ সাল থেকে ভাঙন শুরু হলেও টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ড তা রোধে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারনে দিন দিন যমুনা নদীর ভাঙনে গৃহহীন হয়ে নি:স্ব হচ্ছে এই অঞ্চলের মানুষ।
উপজেলার কষ্টাপাড়া গ্রামের সবুর আলী জানান, যমুনা নদীতে অর্ধমাস ধরে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। স্থানীয় এমপিসহ সরকারি কর্মকর্তারা ভাঙন দেখে গেছেন কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন উদ্যোগ নেই। তারা শুধু এসে আশ্বাস দিয়ে যান। ঈমান বেপারী নামের খানুরবাড়ি গ্রামের আরেকজন জানান, তিন গ্রামের প্রায় দেড় কিলোমিটার জুড়ে তীব্র ভাঙন শুরু হলেও শুধু ৭৫ মিটার এলাকায় নিম্নমানের জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এতে ভাঙনরোধে কোন কাজেই আসেনি।স্থানীয়রা জানান, যেভাবে যমুনা নদীর কষ্টাপাড়া, ভালুকুটিয়া ও খানুরবাড়িতে ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে সপ্তাহখানেকের মধ্যে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে গ্রামগুলো। গ্রামগুলো রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পানিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নে তিনটি গ্রামে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে কমপক্ষে ৫০০মিটার এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলানো দরকার। কিন্তু বড় কোন প্রকল্প অনুমোদন হয় না। তাই ওই এলাকায় ৭৫ মিটার এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। আরো ৭৫ মিটার এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। অনুমোদন হলে কাজ শুরু করা হবে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...