টাঙ্গাইলের নাগরপুরে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে শারীরিকভাবে অক্ষম, প্যারালাইজড রোগীর গাছের সাথে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় এলাকায় তোলপার শুরু হয়েছে।
এটি আত্মহত্যা না পরিকল্পিত হত্যা এ নিয়ে ক্রমশ ধোয়াশার সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, চলাফেরা করতে না পারা ব্যক্তি কিভাবে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।
তারা দাবি করেন এটা একটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে উপজেলার ধুবড়িয়ায় ঘটেছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে নাগরপুর থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। মৃত ব্যক্তি মো.নুরু মিয়া (৪৮) উপজেলার ধুবড়িয়া পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত কালাম মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মো.নুরু মিয়া প্যারালাইজড হয়ে বেশ কিছুদিন যাবৎ স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না। ডান হাত অচল হয়ে তাতে পচঁন ধরেছে। বামহাত নাড়াচাড়া করাও তার পক্ষে কঠিন কাজ। এ অবস্থায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।
পাশের বাড়ির নিমাই শেখ জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে নিহত নুরু মিয়ার স্ত্রী নূরজাহান আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বলেন যে নুরু মিয়া বাড়ি থেকে বের হতে গিয়ে পড়ে মারা গেছেন।
তখন আমি দৌড়ে গিয়ে দেখি নুরু মিয়া জমির আইলের মধ্যে সোজা হয়ে পড়ে আছেন। গলায় দাগ দেখে আমার সন্দেহ হলে নূরজাহান বলেন নুরু মিয়া গাছের সাথে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু গাছে উঠে ফাঁসি নেওয়ার মত শারীরিক সক্ষমতা তার নেই।
এ ব্যাপারে নাগরপুর থানার উপ পরিদর্শক মো.সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে এটা আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে, ময়নাতদন্তে যদি মৃত্যুর অন্যকোন কারন পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে আমরা মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে নিয়ে দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...