চলমান কৃষকের সংকটের সবেচেয়ে বড় কারণ হলো জমিতে কাজ করার জন্য শ্রমিক পাওয়া যায় না। ইউরোপের দেশগুলোতে গ্রীষ্মকালে স্কুল কলেজ বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদের কৃষিকাজ করার সুযোগ করে দেওয়া হয়। এমন আমাদের দেশেও হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সচিবালয়ে ধানের কম বাজার মূল্যের বিষয়ে সরকার গৃহীত কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন পরামর্শ তুলে ধরেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘কৃষকের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার সবেচেয়ে বড় কারণ হলো শ্রমিক পাওয়া যায় না। তিন বেলা খাবারের সঙ্গে ৬০০-৭০০ টাকা দিয়ে কামলা রাখতে হয়। এ কামলার টাকা দিয়ে কিছুতেই ধান কাটতে পারছে না, অস্বাভাবিকভাবে চাষির উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।’
‘এর কী সমাধান। কতগুলো পত্রিকার প্রতিদিনই লেখে, একটি পত্রিকাও আজ পর্যন্ত এর কী সমাধান তা লেখেনি,’ যোগ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘কৃষিকাজে কেউ আসতে চায় না। শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা কাজ করে না। কারও কোনো অভাব নেই, তাই, কেউ মাঠে যাবে না।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘ইউরোপের দেশগুলোতে গ্রীষ্মকালে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকে। মূল কারণ হলো এ সময়ে ছেলেমেয়েরা গিয়ে কাজ করে, তারা মাঠেও কাজ করে। আপনারাও চিন্তা করেন, এ ধরনের চিন্তা আমরা ভবিষ্যতে করব কিনা। শ্রমের মর্যাদা, যেকোন কাজ.... নিচের ক্লাসের না, এইট, নাইট, টেন কিংবা এইচএসসি লেভেলের ছাত্রদের আমরা ২০-২৫ দিন স্কুল বন্ধ রেখে....২০-২৫ দিন স্কুল বন্ধ রাখলে তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। ছেলেমেয়েরা কাজ করবে, এটা হতে পারে।’
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...