ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী শতাধিক দোকানপাট।
ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড হতে বাজার মোড় পর্যন্ত সড়কে এসব অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র দোকানপাটের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সড়কের উপর ঝুঁকি নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করছে সাধারন মানুষ। এতে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয় প্রতিনিয়ত। সরেজমিনে এমনচিত্র দেখা গেছে।
জানা যায়, ভূঞাপুর-তারাকান্দি আঞ্চলিক সড়কের ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড হতে থানা হয়ে বাজার মোড় পর্যন্ত সড়কের ফুটপাট দখল করে ফলের দোকান, সবজির বাজার, কাপড়সহ বিভিন্ন পন্যের দোকানপাত গড়ে তোলা হয়েছে। আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে দোকানপাটের সংখ্যা বেড়ে গেছে। অন্যদিকে এসব দোকানে জমে উঠেছে ফুটপাটের মার্কেটগুলো। মানুষ ঝুঁকি নিয়ে সড়কের এপার-ওপার ঘুরোঘুরি করে তাদের পছন্দের জিনিষ ক্রয় করছেন। গড়ে উঠা দোকানপাটে রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। সন্ধ্যার পরও দোকানগুলোতে কেনাবেচা হচ্ছে। অভিযোগ আছে গড়ে উঠা এসব ফুটপাতের দোকান থেকে দিন হিসেবে ৫০টাকা চাঁদা তুলছে একটি সিন্ডিকেট।
অন্যদিকে ফুটপাতের এসব দোকানে মার্কেট করতে আসা অনেকেই সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এরপরও নি¤œবৃত্ত মানুষজন কম টাকায় ফুটপাতের এসব দোকান থেকে পন্য কিনে খুশি।
ফুটপাতে কাপড় কিনতে আসা ক্রেতারা জানান, মার্কেটের শোরুমে গেলে সেখানে জিনিষের দাম বেশি। ফলে সড়কের পাশে এসব দোকানে আসছি ছেলে-মেয়েদের ঈদের জামা কাপড় কম দামে কিনতে। সড়কের উপর দোকানে কেনাকাটা করতে ঝুঁকিতো আছেই। সাবধানে বাজার করতে হচ্ছে। তারপরও অনেকেই সড়ক পাড় হতে গিয়ে দূর্ঘটনার কবলে পড়ছেন। এসব দোকানপাট যদি একটা নির্দিষ্ট জায়গায় স্থানান্তর করা হত তাহলে নি¤œ আয়ের মানুষের উপকার হত।
ফুটপাতের একাধিক ব্যবসায়ীরা জানান, অন্যত্র ব্যবসা করার সামর্থ্য না থাকায় সড়কের পাশেই দোকানপাত তুলে ব্যবসা করছি। এতে যে আয় রোজগার হয় তা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। এছাড়া এখানে দোকান করতে প্রতিদিন চাঁদা দিতে হয় প্রভাবশালীদের।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ জানান, সড়কে যানজট নিরসনের জন্য আনসার নিয়োগ করা হবে। সড়কের উপর থেকে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদের জন্য পৌরসভা ও সওজ কর্তৃপক্ষের ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। অথচ ওই দুইটি প্রতিষ্ঠানকে বারবার অবহিত করার পরও অজ্ঞাত কারনে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...