গাজীপুরের টঙ্গীর প্যাকেজিং কারখানা টাম্পাকো ফয়লসে বিস্ফোরণে অগ্নিকান্ডের ৬ দিন পরও ওই কারখানার শ্রমিক টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের জহিরুল ইসলামের খোঁজ মেলেনি বলে জানা গেছে।
জাহিরুলের বাড়ি এ উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের উফুকী গ্রামে। তার পিতার নাম মৃত আবুল হোসেন। তিনি ওই কারখানায় প্রিন্টিং অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
গত শনিবার ওই কারখানায় অগ্নিকান্ডের খবর বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচারের পরই তার মা জেলেকা বেগম, স্ত্রী জাবেদা বেগম ও তিন বছরের একমাত্র সন্তান নাহিদকে নিয়ে জহিরুলের চাচা হাবিবুর রহমান তার খোঁজে টঙ্গী চলে যান। এ হাসপাতাল ও হাসপাতাল খোঁজাখুজির পরও তার হদিস না পাওয়ায় ঈদের দিন সকালে চাচা হাবিবুর রহমান বাড়ি ফিরে আসেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, চার বছর আগে জহিরুলের পিতা আবুল হোসেনে মৃত্যু হলে তার ছোট বোনের বর টঙ্গীর সিনমুন বাজারের ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন জহিরুলকে ওই কারখানায় প্রথমে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে চাকুরী দেন। পরে নিজ দক্ষতা বলে সে প্রিন্টিং অপারেটর হিসেবে পদোন্নতি পান। বর্তমানে সব মিলিয়ে তার বেতন হয়ে ছিল প্রায় ১৫ হাজার টাকা। এই বেতনের টাকায় তার পরিবারের ব্যয়ভার মিটতো বলে জানা গেছে।
তার চাচা হাবিবুর রহমান জানান, শনিবার ফজরের নামাজের শেষে জহিরুল তার মা জেলেকা বেগমকে ফোন করে বলেছিল ২টা পর্যন্ত ডিউটি করে ওইদিনই ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসবে। কিন্ত তার কিছুক্ষন পরই ওই কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। সেই থেকে জহিরুল নিখোঁজ রয়েছেন।
জহিরুলের ছোট বোনের বর ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন জানান, অগ্নিকান্ডের ১০ মিনিট আগে জহিরুল কারখানায় ডুকে। এখনও জহিরুলের খোঁজে তার মা জেলেকা বেগম, স্ত্রী জাবেদা বেগম টঙ্গীতে অবস্থান করছেন। কিন্তু তার কোন খোঁজ মেলেনি বলে আলাউদ্দিন মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন।
জহিরুলের আত্মীয় পাশ্ববর্তী বরাটি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আজমত আলী জানান, বসতভিটি ছাড়া জহিরুলদের আর কোন সম্পত্তি নেই। ওই কারখানার চাকুরীটিই ছিল তার পরিবারের আয়-রোজগারের একমাত্র অবলম্বন। এখন ওই পরিবারটি চলবে কিভাবে সেটায় এলাকাবাসী একমাত্র চিন্তা বলে জানা গেছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...