টাঙ্গাইলের বাসাইলে ধানের দাম কম ও ধান কাটার শ্রমিকের মুজুরি থাকায় দিশেহারা হয়ে নজরুল ইসলাম খান নামের এক কৃষক তার নিজের পাকা ধান ক্ষেতে আগুন দিয়ে প্রতিবাদ করেছেন।
সোমবার (১৩ মে) বিকেলে উপজেলার কাশিল গ্রামের নজরুল ইসলাম খান নামের এক কৃষক নলী বিলের বোরো ধান ক্ষেতে আগুন ধরিয়ে দেন।
কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ধান কাটার শ্রমিকের মূল্য প্রায় এক হাজার টাকা। তারপরও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। অপরদিকে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে ৫শ’ টাকা করে। এছাড়াও ধান ক্ষেতে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে ধানের শীষ চিটা হয়ে শুকিয়ে গেছে। বারবার স্থানীয় কৃষি অফিসে জানালেও তারা কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।
তিনি আরওন বলেন, ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়া প্রায় ৫৬ শতাংশের ধান কেটেছি। এই ৫৬শতাংশ জমিতে মাত্র ৪মণ ধান হয়েছে। ৫৬শতাংশ জমিতে আমার প্রায় ২৫হাজার টাকার ঘাটতি হয়েছে। তাই দিশেহারা হয়ে ২০ শতাংশ পাকা ধান ক্ষেতে আগুন ধরিয়ে দিলে স্থানীয়রা এসে নিভিয়ে দেয়। আমি এবার ১২ পাকি জমিতে বোরো আবাদ করেছি। এর ৮পাকি জমির ধানে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে চিটা হয়েছে। এবার আমার বোরো আবাদে অনেক টাকা ঘাটতি হবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রুপালী খাতুন বলেন, ধানে আগুন দেয়ার বিষয়টি শুনে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শ্রমিকের দাম বেশি ও ধানের দাম কম হওয়ায় ওই কৃষক দিশেহারা হয়ে ধান ক্ষেতে আগুন দেন। এতে ওই কৃষকের ৬টি গোছা পুড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, উপজেলায় এবার ১১হাজার ১শ’ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু বেশ কয়েকজন কৃষকের ৯ হেক্টর জমিতে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। পরে তাদেরকে পরামর্শ দেয়া হলেও তারা দুইবার স্পে করেনি। এর ফলে কয়েকজন কৃষকের ধান নষ্ট হয়।’
প্রসঙ্গত, এরআগে রবিবার (১২ মে) দুপুরে জেলার কালিহাতী উপজেলার পাইকড়া ইউনিয়নের বানকিনা গ্রামের আব্দুল মালেক তার রোপনকৃত পাকা ধানে আগুন ধরিয়ে এ প্রতিবাদ করেন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...