টাঙ্গাইলে পৌর শহরে এক রিক্সাচালককে পেটানোর অভিযোগে পুলিশের এক গাড়ি চালককে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অভিযুক্ত গাড়ি চালকের আবুল খায়ের এর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১৩ মে) সকালে শহরের আকুর-টাকুর পাড়া এলাকায় এক রিক্সাচালককে মারধর করার অভিযোগে পুলিশের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়সহ জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ রাতেই এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, শহরের স্টেডিয়াম মার্কেট থেকে রিক্সাটি মেইন রোডে প্রবেশ করার সময় টাঙ্গাইল মডেল থানা থেকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রারত পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানে লেগে যায়। এমন সময় ওই পিকআপ চালক আবুল খায়ের গাড়ী থেকে নেমে এসে ওই রিক্সাচালককে লাঠি দিয়ে মারধর করেন। এ সময় ওই রিক্সা চালক চিৎকার করে কাঁদতে থাকে। এ স্বত্তেও পুলিশের ওই গাড়ী চালক তাকে কোন স্বান্তনা বা সহানুভুতি না দেখিয়ে চলে যান। তবে পুলিশের গাড়ী চালককের ওই মারধরের ঘটনাটি অসংখ্য প্রত্যক্ষদর্শী মুঠোফোনে ধারণ করেন। যা পরবর্তীতে অনলাইনে ভাইরাল হয়ে যায়।
রিক্সা চালক জানান, ইঞ্জিন চালিত রিক্সা আর গতি একটু বেশি থাকায় ওই মোড় ঘোরানোর সময় গাড়ীতে একটু লেগে যায়। রিক্সা চালক সেলিম মিয়া (৩০) সদর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের মোখছেদ আলীর ছেলে। তিনি বিদেশে চাকুরী করেও কোন সুবিধা করতে না পারায় দেশে ফিরে পুনরায় রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আহাদুজ্জামান মিয়া জানান, চালক আবুল খায়ের যে কাজটি করেছে তা পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার মত আর অতি দুঃখজনক। এ কারণে পুলিশের গাড়ী চালক আবুল খায়েরকে লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এসময় তিনি আরো জানান, বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় তা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। পরে রাতেই তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করে নেয়া হয়। এছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাসুদ মুনীরকে প্রধান করে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর চালকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...