টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পারখী ইউনিয়নের পূর্বাসিন্দা গ্রামের স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষন ও গর্ভপাতের ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী ধর্ষক এবং গর্ভপাতে সহায়তাকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
টাঙ্গাইল২৪.কম এ সংবাদ প্রকাশের পর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পুলিশ ওই ধর্ষণকারী ও গর্ভপাতের মাধ্যমে বা”চা নষ্টকারীকে আটক করে। আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
আটককৃতরা হলো, পারখী ইউনিয়নের পূর্বাসিন্দা গ্রামের রায় মোহনের ছেলে রাম প্রসাদ (২০) ও ধর্ষকের ফুফাতো বোন রতœা সূত্রধর (২৫)।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা বাদি হয়ে রাম প্রসাদ ও রতœা রানীকে আসামী করে মামলা করেছে।
ধর্ষিতার বাবা জানান, স্কুলে যাওয়া-আসার পথে আমার নাবালিকা পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী মেয়েকে ফুসলিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে রাম প্রসাদ তার ফুফাতো বোনের বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ফলে আমার মেয়ে অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়ে। ধর্ষক রাম প্রসাদ কৌশলে তার ফুফাতো বোন রতœারানীর সহযোগিতায় গর্ভপাত করে বা”চা নষ্ট করার জন্য ওষুধ খাওয়ায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ¯’ানীয় ইউপি সদস্য কদ্দুস, ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি খসরু ও মাতাব্বর সাইফুল সালিশের আয়োজন করেন।
গত ২ মে বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি মীমাংসার জন্য ডাকা শালিসে ধর্ষককে আড়াইল লক্ষ টাকা ও গর্ভপাতে সহায়তাকারীকে দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া হুমকি ধামকি দিয়ে ধর্ষিতার পরিবারকে গ্রামছেড়ে অন্যত্র ¯’ানে রাখা হয়। গত ৬ মে টাঙ্গাইল২৪.কমসহ বিভিন্ন ¯’ানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে এলাকায় তোলপাড় হয়। সংবাদ প্রকাশের পর পুলিশ প্রশাসনের টনক নড়ে। পুলিশ সালিশের মাতাব্বরদের চাপ দিয়ে তাদের সহযোগিতায় ধর্ষিতা শিশুটির পরিবারের লোকজনকে উদ্ধার করে। পরে এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা বাদি হয়ে রাম প্রসাদ ও রতœা রানীকে আসামী করে মামলা করে।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন বলেন, ধর্ষিতার স্বা¯’্য পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষক রাম প্রসাদ ও সহযোগী রতœাকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...