টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুনীকে (১৬) ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষনকারী ও ধর্ষনে সহায়তাকারীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) অভিযুক্ত দুই আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষিতা তরুনীর জবানবন্দি এবং ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জেলা সদরে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই তরুনীর সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আসামী মোবারকের পরিচয় হয়ে বেশ কিছুদিন যাবৎ মন দেওয়া নেওয়া চলছিল। গত বোরবার (১৪ এপ্রিল) উপজেলার ভারড়া বাজারে অনুষ্ঠিত বৈশাখী মেলায় বেড়াতে আসলে ঐ তরুনীকে কৌশলে মোবারক তার বন্ধু কালুর বাড়ি চৌবাড়িয়াতে বেড়াতে নিয়ে যায়। এসময় কালু মোবারক ও ওই তরুনীকে তার দোচালা ঘরের ভিতর রেখে বাইরে থেকে শিকল দিয়ে চলে যায়। পরে রাতে মোবারক তরুনীকে ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষন করে। পরদিন সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে কালুর বাড়ি থেকে বেড়িয়ে তরুনীকে বিয়ে করবে বলে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ঘোরাফেরা করতে থাকে। এক পর্যায়ে তরুনীকে উপজেলার শেখ শামসুল হক সেতুর উপর রেখে মোবারক ও কালু পালিয়ে যায়।
এসময় ধর্ষনের শিকার তরুনী বিষয়টি মোবাইলে তার বড় বোনকে জানালে তারা সেতু এলাকা থেকে তরুনীকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
পরে কালুর বাড়িতে গিয়ে ভিকটিমের বাবা জানালে এলাকাবাসীর সহায়তায় মোবারক ও কালুকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলম চাঁদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে। ওই তরুনীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মূলত বিয়ের প্রলোভনে ওই তরুনীকে ধর্ষন করা হয়ে থাকতে পারে বলে তিনি জানান।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...