টাঙ্গাইলের নাগরপুরে স্বামীর দেয়া আগুনে দগ্ধ সেই গৃহবধূ সোমা আক্তার (২৪) ৫দিন পর বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় মারা গেছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ৪ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে বাবার বাড়ীতেই মৃত্যুর কাছে তিনি হার মানলেন। তার এ মৃত্যুর খবরে গৃহবধূর বাড়ীতে চলছে মোকের মাতম।
তার পিতা চান মিয়া ও বড় বোন ফাতেমার আর্ত চিৎকারে সেখানকার বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। মা সুফিয়া বেগম বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। কিছুক্ষন পরপর বুক চাপড়ে বিলাপ করছেন। তাদের শান্তনা দেয়ার ভাষা যেন প্রতিবেশীরা হারিয়ে ফেলেছে।
জানা যায়, উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের খাষ পাইকাল মো. চান মিয়ার মেয়ে সোমা আক্তারের সাথে একই গ্রামের পরশ আলীর ছেলে বিয়ে পাগল রুহুল আমীনের তিন বছর আগে বিয়ে হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান এম ফিরোজ সিদ্দিক জানান, রুহুল আমিন এর আগেও ৫ টি বিয়ে করেছিল। সে পেশায় একজন ড্রাইভার। রোববার গৃহবধূ সোমা তার ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। ভোর ৫ টার দিকে স্বামী রুহুল আমীন হত্যার উদ্দেশ্যে ঘুমন্ত স্ত্রী সোমার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
মূহুর্তের মধ্যে তার শরীর দাউ দাউ করে জলে উঠে। অগ্নিদগ্ধ স্ত্রী সোমা তার স্বামীকে জাপটে ধরে বাচার আকুতি জানান।
এসময় তার স্বামী রুহুল আমীনের শরীর আংশিক দগ্ধ হয়। সোমার আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে।
তার শরীরের ৯৮ভাগ পুড়ে যাওয়ায় ৪ দিন চিকিৎসার পর ঢামেক কর্তৃপক্ষ তাকে ছেড়ে দেন। এর পর তাকে বাড়ীতে আনার পরদিন বৃহষ্পতিবার তিনি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...