নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে হেজবুত তওহীদের দুই সদস্যকে জবাই করে হত্যা, বাড়ি-ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের তিন বছর পূর্তিতে টাঙ্গাইলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা হেজবুত তওহীদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওই ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের দাবি জানানো হয়।
টাঙ্গাইল শহরের একটি চাইনিজ রেস্টুরেণ্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, টাঙ্গাইল জেলা হেজবুত তওহীদের সভাপতি সাজ্জাদ কাদীর খান।
তিনি বলেন, ধর্ম ব্যবসায়ীরা ২০১৬সালের ১৪ মার্চ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ, বাড়ি-ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চালিয়ে হেজবুত তওহীদের দুই সদস্য ইব্রাহীম খলিল রুবেল ও সোলায়মান খোকনকে জবাই করে হত্যা করে। ওই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলেও অধিকাংশ আসামি এখনও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। তাদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেও তারা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং স্থানীয় হেজবুত তওহীদের নেতাকর্মীদেরকে পুনরায় হত্যা করার হুমকী দিচ্ছে।
তিনি অবিলম্বে উল্লেখিত চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের দাবি জানান।
তিনি আরো বলেন, হেজবুত তওহীদ ধর্মের দোহাই দিয়ে অর্থনৈতিক- রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ সহ ধর্মের নামে প্রতিটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে আদর্শিক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে হেজবুত তওহীদ ধর্ম ব্যবসায়ীদের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
এ সময় তিনি ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ সংঘটিত নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞের বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরেন এবং ভিডিও ফুটেজ প্রদর্শন করেন।
উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন হেজবুত তওহীদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. এনামুল হক বাপ্পা।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা হেজবুত তওহীদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল ইসলাম, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মো. মামুন পারভেজ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রিণ্ট ও উলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...