ঘাটাইলের ৫কিলোমিটার পূর্ব দক্ষিনে পাহাড়ের কুল ঘেষে প্রকান্ড একটি দীঘি রয়েছে। দীঘিটির নাম সন্ধানপুর দীঘি।
প্রায় ২২ একর আয়তনের এ দীঘিটি কখন কোন আমলে খনন হয়েছে তা কেউ বলতে পারেন না।
ওই এলাকার শতবর্ষী জনৈক আ: আজীজ বলেন, এ দীঘিটি কোন সময় কে খনন করেছে তা আমার জানা নেই। এমনকি আমার বাপ দাদার কাছে শুনেছি, তারাও বলতে পারেননি।
প্রতœতাত্বিক গবেষক ও সাংবাদিক জুলফিকার হায়দারও এর কোন তথ্য জানাতে পারেননি। তবে দীঘির পূর্ব পাড়ের মাঝখান দিয়ে পাহাড়ের দিকে ইটের নির্মিত একটি শিড়ি ছিল বলে স্থানীয় লাল মিয়া জানান।
যা এখন আর নেই। এর থেকে ধারনা করা হয় খ্রিষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে পাল রাজাদের শাসনামলে বিশাল আয়তনের এ দীঘিটি খনন করা হয়েছে।
দীঘিটি সন্ধানপুর গ্রামে অবস্থিত। ফলে গ্রামের নামানুসারে এটা এখন সন্ধানপুর দীঘি নামেই পরিচিত। দীঘিটি খাস খতিয়ানে থাকায় প্রতি বছর জলমহালের নামে লীজ দিয়ে সরকার রাজস্ব আদায় করে থাকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দীঘির চার পাশে প্রচুর বসত ঘর রয়েছে। আর এরা সবাই মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির (নিবন্ধন নং-২৯) সদস্য। স্থানীয় জেলেদের স্বপ্ন ‘মৎস্যজীবি’ সমবায় সমিতির মাধ্যমে দীঘিটি লীজ নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা।
লীজ নীতিমালা অনুযায়ী, লীজ গ্রহনে স্থানীয় মৎস্যজীবিদের অগ্রাধিকার রয়েছে। তার পরও পেশী শক্তির কাছে হেরে যান তারা।
স্থানীয় নিরীহ মৎস্যজীবিদের অভিযোগ টেন্ডার হলে প্রভাবশালী মহল দুরের কোন মৎস্যজীবি সমিতির নামে সিডিউল কিনে ড্রপ করে। কিন্তু তারা কোনভাবে সিডিউল কিনলেও প্রভাবশালী মহলটি ড্রপ করতে দেয়না। এরা লীজ নিলে নানা ও দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়।
জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর নাহার বেগম বলেন, আমরা সাধারনত সর্বোচ্চ দর দাতাকেই লীজ দিয়ে থাকি। তাছাড়া এরা যখন স্থানীয় মৎস্য জীবি সেহেতু এদের বিষয়টি দেখব। দীঘির চার পাশে বসবাসকারী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সদস্যরা তাদের নামে বরাদ্ধ পাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...