মায়ের পা ধুয়ে ভালোবাসা দিবস পালন

“ভালোবাসা” শুধু একটি শব্দ নয়, অনুভূতি। আর মানুষ নানা সময়ই তার প্রিয়জনদের কাছে এই অনুভূতি প্রকাশ করে থাকে। কিন্তু বিশেষ একটি দিনই যদি হয় সে অনুভূতি প্রকাশের। তাহলে তো মন্দ নয়।

আজ ১৪ ফেব্রুয়ারী বিশ^ ভালোবাসা দিবস। বিশে^র প্রতিটি দেশেই নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে দিনটি। সেদিক দিয়ে পিছিয়ে নেই টাঙ্গাইলও।

ভালোবাসার অন্যরকম এক বহিঃপ্রকাশ ও শিশুদের মাঝে দিনটি এবং শব্দটির সঠিক উদাহরণ তুলে ধরতেই মায়েদের পা ধুয়ে দিয়ে ভালোবাসার অনুভূতি প্রকাশের আয়োজন করেছে টাঙ্গাইলের বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারি স্কুল।

ভালোবাসা দিবস মানেই প্রেমিক যুগলেরম এমন ধারনা পাল্টে দিতেই তৃতীয় বারের মত এই আয়োজন।

টাঙ্গাইল শহরের এসপি পার্কে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বিদ্যালয়টির শিশু শিক্ষার্থী ও তাদের মায়েরা অংশ নেয়।

অনুষ্ঠানে অভিভাবকরা জানান, শিশুরা যেমন মাকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করতে শিখবে, ঠিক তেমনি তাদের ভালবাসার গভীরতাও বেড়ে যাবে। এরকম অনুষ্ঠান যদি প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করা হয়, তাহলেই সমাজে আর কোন পিতা মাতাকে বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে হবে না। ফলে বৃদ্ধ বয়সে পিতা মাতা তার সন্তানের কাছেই থাকতে পারবে।

শুরুতে মায়েদের পা ধুয়ে দেন শিশুরা। পরে মায়ের জন্য ভালবাসা স্লোগান দিয়ে শিশুরা তাদের মায়েদের গলায় মেডেল পরিয়ে দেন। 

টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারী স্কুলের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্য প্রযুক্তি) মো. সেলিম আহমদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. আহাদুজ্জামান মিয়া, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, লায়লা খানম, জেলা সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা কাজী গোলাম আহাদসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

শিক্ষার্থী রিয়া আক্তার বলেন, আমার মায়ের মা ধুয়ে দেওয়ার পর আমার খুব ভাল লাগছে। আমি আমার মাকে খুব সম্মান ও শ্রদ্ধা করি।

শিক্ষার্থী আসিব খান বলেন, পিতা-মাতাকে আমি অনেক ভালবাসি। ভালবাসা দিবসে আমি মায়ের মা ধুয়ে দিয়েছি। যতদিন পিতা মাতা বেচে থাকবে ততদিন তাদের খুব সম্মান ও শ্রদ্ধা করবো।

অভিভাবক শারমিন আক্তার সুমি বলেন, এই অনুষ্ঠানে এসে আমার খুব ভাল লাগছে। নিজের সন্তার আমার পা ধুয়ে দিয়েছে। ফলে সে একটু হলেও মায়ের প্রতি সম্মান দেখিয়েছে। আমি মনে করি প্রতিটি সন্তান তার মা বাবাকে এভাবেই সম্মান করুক।