দিনমজুর শাহ্আলম। অভাব অনটনে চলে ছয় সদস্যের সংসার। সংসার চালাতে তার আয়ের একমাত্র উৎস ছিল একটি মাত্র ঘোড়ার গাড়ি।
ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে তিনি যেমন সংসার চালাতেন তেমনি দুই সন্তানকে করাতেন লেখাপড়া। তেমনিই ওষুধ কিনতেন বৃদ্ধ মায়ের জন্য। শাহ্আলমের সেই ঘোড়াটি শনিবার রাতে কে বা কারা গলায় ফাঁস লাগিয়ে মেরে ফেলে।
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বড়চওনা গায়েন মোড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শাহ্আলম উপজেলার বড়চওনা গায়েন মোড় গ্রামের মৃত মাজম আলীর ছেলে।
ঘোড়া দিয়ে গাড়ি চালিয়ে তিনি শুধু সংসারই চালাতেন না। ঘোড়াটি ছিল তার পরিবারের সদস্য। প্রতিদিন ঘোড়াটিকে খাবার দিত সে। সেবাযতœও করতো নিয়মিত। তাই প্রিয় ঘোড়াটি হারিয়ে এখন নি:স্ব শাহ্আলম। কিভাবে চলবে তার সংসার ও ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ এ নিয়ে দিশেহারা তিনি।
জানা যায়, প্রতিদিনের মতো শাহ্্আলম শনিবার তার ঘোড়াটিকে গোয়াইল ঘরে রেখে ঘুমিয়ে পড়েন। রোববার সকালে ঘোড়াটি ঘর থেকে বের করতে গেলে ঘোড়াটি পাওয়া যায়নি। না পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। এরপর বাড়ির পাশে সামাজিক বনায়নে গাছের সঙ্গে গলায় রশি টাঙানো অবস্থায় ঘোড়াটিকে স্থানীয়রা দেখে শাহ্আলমকে খবর দেয়। সে গিয়ে তার প্রিয় ঘোড়াটি মৃত দেখতে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
শাহ্আলম বলেন, আমার সৎভাইদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। তারাই আমার উর্পাজনের একমাত্র মাধ্যম ঘোড়াটি মেরে ফেলেছে। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি চাই। ঘোড়াটি মেরে ফেলায় আমি এখন দিশেহারা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, ঘোড়া একটি পশু। তার কোন দোষ নেই। একটি পশুকে এভাবে গলায় রশি দিয়ে মেরে ফেলা সত্যিই দুঃখজনক।
এ বিষয়ে সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক এসআই আইয়ুব আলী বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...