পরকীয়ার কারণে স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে ডিবি পুলিশের কাছে গ্রেফতার হওয়া গৃহবধু নিলুফা হত্যা মামলার প্রধান আসামী ঘাতক স্বামী জাহাঙ্গীর আলম মেহেদীকে (২৭)।
শুক্রবার টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ স্বীকারোক্তি দেয় মেহেদী।
এসময় তিনি আদালতকে জানান, জনৈক ফারুকের সাথে তার স্ত্রী নিলুফা আক্তারের পরকীয়া প্রেম ছিল। এজন্য সে নিলুফাকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে মেরে লাশ ঘরে রেখেই পালিয়ে যায়।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সখীপুর উপজেলার হামিদপুর বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত জাহাঙ্গীর আলম মেহেদী (২৭) বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি থানা সদরের বাবলু প্রামাণিকের ছেলে। সে সখীপুর পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডে স্ত্রী নিলুফাকে নিয়ে বাসা ভাড়া করে থাকতো।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর সখীপুর উপজেলা সদরের ৮নং ওয়ার্ডের জেলখানা মোড় সংলগ্ন জনৈক আব্দুল হামিদের ভাড়াটিয়া বাসার একটি কক্ষ থেকে গৃহবধূ নিলুফা আক্তারের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে সখীপুর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ওই দিনই নিলুফা আক্তারের বাবা সরুজ আলী বাদি হয়ে জামাতা জাহাঙ্গীর আলম মেহেদীর নাম উল্লেখ করে সখীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...