দীর্ঘ ৪০ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাসের খুনাখুনি বন্ধ এবং মহল্লাবাসিকে সন্ত্রাস ও সংঘর্ষের পথ থেকে সরিয়ে আনার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির।
তিনি মঙ্গলবার গোপালপুর পৌরসভার আভঙ্গী মহল্লার বিএনপি’র শক্তিশালী ঘাটিতে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে প্রবেশ করেন। তিনি মহল্লার প্রতিটি বাড়িঘর, দোকানপাটে ফুল নিয়ে হাজির হন।
ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর সময় তিনি সেখানকার বিএনপি কর্মীসমর্থকদের বলেন, আর নয় সংঘর্ষ, বোমাবাজি ও রক্তক্ষরণ। আজ থেকে ফুল বিনিময় হবে। ভালোবাসা বিনিময় হবে। বছরের প্রথম দিন থেকেই শিশুরা অস্ত্র হাতে নয়, বই হাতে নিয়ে স্কুলে যাবে। মা-বোনরা দা-কোদাল নিয়ে রাস্তায় মারামারি করতে বেরুবেনা। তারা শান্তিপূর্ণ ভাবে ঘর সংসার সামলাবে।
এ সময়ে মহল্লার শত শত নারী পুরুষ ও শিশুরা তার হাত থেকে ফুল নিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন।
এ সময়ে তার সাথে পৌর মেয়র রকিবুল হক ছানা, উপজেলা আওয়ামীলীগ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তালুকদার সুরুজ, শহর আওয়ামীলীগ সভাপতি রফিকুল ইসলামসহ দলীয় নেতাকর্মী ও মিডিয়া কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল জেলার ১২টি উপজেলা নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গঠিত আটটি আসনের মধ্যে সবচেয়ে সংঘাতপূর্ন আসন টাঙ্গাইল-২ (ভ’ঞাপুর-গোপালপুর)। এ আসনে নির্বাচন মানেই সন্ত্রাস। বাড়িঘরে ভাংচুর। হামলা, মামলা, লুট ও খুনখারাপি।
৭৯ সাল থেকে চলে আসছে এ রেওয়াজ। টাঙ্গাইল-২ আসনে গোপালপুর উপজেলায় নির্বাচন পর্ব ও নির্বাচনোত্তর এ সহিংস ঘটনা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন সব সময় থাকেন উৎকন্ঠার মধ্যে। পৌরসভার আভঙ্গী মহল্লার নিরানব্বই ভাগ বাসিন্দা বিএনপির কর্মী ও সমর্থক। মহল্লার শত শত নারীপুরুষ ও শিশুরা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে (হরতাল, অবরোধ) সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
মহল্লাটি বস্তির মতো ঘিঞ্জি হওয়ায় সন্ত্রাসীরা এটিকে ঘাটি হিসাবে ব্যবহার করে। দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে এ মহল্লার ব্এিনপির কর্মীদের সাথে আওয়ামীলীগের কর্মীদের বহুবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও প্রানহানি ঘটেছে। সর্বশেষে ২০১৩ সালে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হোসেন এ মহল্লার বিএনপির কর্মীসমর্থকদের হাতে নিহত হন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...