টাঙ্গাইলের বাসাইলে অপহরণের প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর স’মিল মালিক ও ফার্নিচার ব্যবসায়ী রেবুল দেওয়ানকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (০২ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার গুল্যা এতিমখানা মাদ্রাসার বালির স্তুুপ থেকে স্থানীয়রা তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রেবুল দেওয়ান উপজেলার হাবলা ইউনিয়নের নাহালী গ্রামের হাজী তোতা দেওয়ানের ছেলে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শনিবার (০১ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের গেইটের সামনে থেকে রেবুল দেওয়ানকে অপহরণ করে নিয়ে যায় দূর্বিত্তরা। পরে রোববার ভোরে তাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। এসময় মানিব্যাগে থাকা প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সাড়ে ৩ হাজার টাকাও নিয়ে নেয় তারা। এর আগে গত ১৩ আগষ্ট রাত ৯টার দিকে রেবুল দেওয়ানকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে নাহালী সোনামিয়ার বাড়ির পাশে কাঁচা রাস্তায় ৫/৬ জন দূর্বিত্ত পেঁছন থেকে তাকে আক্রমণ করে এবং গাছের সাথে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন চালায়। এসময় তার সাথে থাকা বাগান কাঠ কেনার ৭৬ হাজার টাকা দূর্বিত্তরা ছিনিয়ে নেয় এবং তাকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয়। রেবুলের আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ১৬ আগষ্ট রেবুল দেওয়ান নিজের নিরাপত্তা চেয়ে বাসাইল থানায় সাধারণ ডায়েরী করতে গেলে সুনিদৃষ্টভাবে দূর্বিত্তদের নাম না বলতে পারায় পুলিশ ডায়েরী নেয়নি।
রেবুল দেওয়ানের স্ত্রী জেসমিন বেগম বলেন, ‘গত ১৩ আগস্ট আমার স্বামীকে গাছের সাথে বেঁধে রেখে ৭৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় দুর্বিত্তরা। এ ঘটনায় ১৬ আগস্ট বাসাইল থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে পুলিশ ডায়েরি নেয়নি। ওইদিন রাতে দূর্বিত্তরা ঘরের সামনে ”তোকে বলেছিলাম এলাকা ছাড়, কিন্তুু তুই বুঝলি না এবার মরতে হবে। আমরা টাকা চাইনা এলাকা ছাড় নইলে মর” লেখা সম্বলিত একটি চিড়কুট ফেলে যায় দূর্বিত্তরা।
পরে শনিবার (০১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের গেইটের সামনে থেকে তাকে অপরহণ করা হয়। প্রায় প্রতিদিনই ফোন করে দূর্বিত্তরা বাড়ি ছাড়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এখন আমরা প্রতিনিয়ত শংকায় দিন কাটাচ্ছি।’
রেবুলের মামা শফিকুল ইসলাম বলেন, রেবুল প্রায় ১৭ বছর যাবৎ ব্যবসা করে আসছে। অপহরণের সাথে খুব কাছের কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এঘটনায় রোববার দুপুরে টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
টাঙ্গাইল মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আবুল বাশার বলেন, ‘একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে নিয়মিত মামলা ও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...