ঈদের আনন্দকে আরো রঙিন করতে মানুষ প্রিয়জনদের নিয়ে ভীড় করছেন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। ঈদ আনন্দ যেন উপচে পড়ছে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব (যমুনা) পাড়ে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হওয়ায় দুর-দুরান্ত থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানুষজন এখানে বেড়াতে আসছেন। শুক্রবার বিকালে সরেজমিনে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব যমুনা পাড়ে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু সেতু ১৯৯৮ সালে উদ্বোধনের পর থেকেই মানুষ সেতু দেখতে আসতো। কিন্তু বছর কয়েক আগ থেকে মানুষ বঙ্গবন্ধু সেতু দেখার পাশাপাশি ঈদ মৌসুমে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দকে আরো রঙিন করতে বঙ্গবন্ধু সেতু নিকটবর্তি যমুনা পাড়ে আসছে বেড়াতে। সারাদেশের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় খুব সহজেই মানুষ এখানে বেড়াতে আসছে। যমুনার পাড়ে প্রচুর ফাঁকা জায়গা থাকায় এখানে রান্নার ব্যবস্থা, নৌকা অথবা স্পিড বোড নিয়ে বেড়ানো, সন্ধ্যার পর সেতুতে স্থাপিত হরেক রকমের আলোয় যমুনার পাড়ে পরিবেশ হয়ে উঠে আরো মনোমুগ্ধকর। টাঙ্গাইল জেলার মানুষজনই শুধু নয় পাশ্ববর্তি সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, নাটোর, পাবনা, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এখানে বেড়াতে আসে।
অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু সেতুতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল আওয়াল মিন্টুর মালিকানাধীন আনন্দ পার্কটি কোর্টের আদেশে বন্ধ থাকায় পার্কটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। পার্কটি ঘিরে আগে প্রতিনিয়ত এখানে পিকনিক করতে আসতো দুর-দুরান্তের লোকজন। পার্কটির সংস্কারের অভাবে পার্কের ভিতরে নাগরদোলাসহ বিভিন্ন সব রাইডস নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে।
যমুনা পাড়ে আসা দর্শনার্থীরা জানান, যাতায়াত ব্যবস্থা ও নিরাপত্তার কারনে এখানে বেড়াতে আসছেন তারা। যমুনা পাড়কে স্থায়ী পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হলে এখানে মানুষের সমাগম বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে স্থানীয় মানুষজন অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।
মানিকগঞ্জ জেলার ধামরাই থেকে যমুনার পাড়ে বেড়াতে আসা গোলাম কিবরিয়া জানান, এখানকার পরিবেশ খুব ভাল। সাথে বঙ্গবন্ধু সেতুকে খুব কাছ থেকে দেখছি। রাতের বেলায় বেশি স্ন্দুর লাগে সেতুটি। যেহেতু প্রচুর মানুষ এখানে আসে সেহেতু এটাকে পর্যটন হিসেবে গড়ে তোলা উচিত।
সিরাজগঞ্জ সদর থেকে আসা আবু তালেব জানান, পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছি। খুব ভাল লাগছে। নৌকা নিয়ে সেতুর নিচ দিয়ে ঘুরেছি। যাতায়াত ব্যবস্থা ভাল তাই এখানে আসছি বেড়াতে।
গাজীপুরের কালিয়াকুর থেকে আসা সিদ্দিকুর রহমান জানান, গাজীপুর থেকে সরাসরি বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব গোলচত্ত¡রে এসে নেমে পরে ভ্যান যোগে যমুনার পাড়ে আসছি। পরিবেশগতভাবে খুব ভাল লেগেছে। যমুনার পাড়ে অস্থায়ী নাগরদোলায় উঠেছি। একদিকে যমুনা নদী অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু। সব মিলিয়ে অসাধারন লেগেছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...