টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দুস্কৃতিকারীদের কাছ থেকে সম্ভম বাঁচাতে চলন্ত বাস থেকে পড়ে গার্মেন্টস কর্মী শিউলী (২৮) মৃত্যর ঘটনায় তিন দিনের রিমান্ডে থাকা সহকর্মী আরিফের কাছ থেকে কোন তথ্য পায়নি পুলিশ।
দ্বিতীয় দফায় আরিফকে আরো দশ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদনের কথা জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক মিজান।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একে এম মিজানুর হক বলেন, বাস চালকের ভাষ্য মতে আরিফই এই ঘটনার মুল। আরিফকে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোন ফলপ্রশু তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। আরিফের দেয়া তথ্যে গুলো এলোমেলো, তাই এই ঘটনার সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে আরিফকে আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দ্বিতীয় দফায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুলাই সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে বাস যোগে পুষ্টকামুরী চরপাড়া গ্রামের শরীফ খানের স্ত্রী গার্মেন্টস কর্মী শিউলী তার কর্মস্থল গোড়াই শিল্পাঞ্চলের কমফিট কম্পোজিট গার্মেন্টসে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বাসে আর্তচিৎকারের কিছুক্ষণ পর দেড় কিলোমিটার দূরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাওয়ার কুমারজানী নামক স্থান থেকে শিউলীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।।
ঘটনার ১৫ দিন পর বাসটি আটক এবং মির্জাপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাস চালক রনি শেখ ও তার ছোট ভাই হেলপার সোহেল রানা ওরফে রানা শেখ সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রনি শেখ ও রানা শেখ নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার পাংখার চর গ্রামের মুক্তার শেখের ছেলে। এছাড়া শিউলীর সহকর্মী আরিফ মির্জাপুর উপজেলা সদরের পুষ্টকামুরী চরপাড়া গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...