ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, দু¯‹িৃতকারীদের কাছ থেকে সম্ভ্রম বাঁচাতে চলন্ত বাস থেকে লাফিয়ে পড়ে গার্মেন্টস কর্মী শিউলী বেগম মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বাসটিকে খোঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান।
শনিবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানা পরিদর্শদনে এসে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
এ সময় টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, সহকারী পুলিশ সুপার মির্জাপুর সার্কেল আফসার উদ্দিন খান, মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক সহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ঘটনার তিনদিন পর শনিবার শিউলীর স্বামী শরিফ খান বাদী হয়ে অজ্ঞাত বাসে থাকা ৪/৫ জন দুস্কৃতিকারীর বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মির্জাপুর হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস ছামাদ জানিয়েছেন, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাওয়ার কুমারজানী এলাকার মা সিএনজি পাম্প এবং ধেরুয়া এলাকার নাসির গøাস ওয়ার ইন্ডাষ্ট্রির সামনে থাকা সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এই ভিডিও ফুটেজ থেকে পরিবারের লোকজন এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সহায়তায় দুর্বৃত্তদের বহনকারী বাসটি সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গার্মেন্টসকর্মী শিউলী কারখানার নির্ধারিত বাস ফেল করে অন্য একটি বাসে উঠে তার কর্মস্থল মির্জাপুরের গোড়াই শিল্পাঞ্চলের কমফিট কম্পোজিট মিলে যাচ্ছিল। এ সময় ওই বাসে যাত্রী বেশী কয়েকজন দুর্বৃত্ত শিউলী বেগমের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করলে বাসের জানালা দিয়ে মাথা বের করে সে চিৎকার করতে থাকেন। এ ঘটনা বাওয়ার কুমার জানী গ্রামের শিউলী বেওয়া ও আব্দুর রউফ নামে দুইজন দেখলেও তারা কোন সহায়তা করতে পারেনি। দেড় কিলোমিটার দূরে মহাসড়কের বাওয়ার কুমারজানী নামক স্থানে পৌছার পর দুষ্কৃতিকারীদের সঙ্গে তস্তাদস্তির এক পর্যায়ে সম্ভম বাঁচাতে শিউলী চলন্ত বাস থেকে লাফ দিয়ে নামতে গিয়ে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...