টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে কুঠিবয়ড়া গ্রামে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। আগ্রাসী ভাঙ্গনে ইতোমধ্যে কয়েক একর ফসলি জমির ফসলসহ বাড়ি-ঘর যমুনা গর্ভে চলে গেছে। ভাঙনরোধে কোন প্রদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
যমুনার ভাঙনরোধে অতিদ্রুত কাজ শুরু করার দাবীতে বৃহস্পতিবার ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়ক দুই ঘন্টা অবরোধ করে রাখে এলাকাবাসী। এসময় এই সড়কে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।
জানা যায়, ভ‚ঞাপুর উপজেলার উত্তর অঞ্চলের অর্জুনা ও কুঠিবয়ড়া পয়েন্টে গত বছরই যমুনার ভাঙ্গন দেখা দেয়। ভাঙনে শতশত ঘর-বাড়ি ও ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তখনই কর্তৃপক্ষ ভাঙ্গনরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্র“তি দিলেও অদ্যবধি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। ফলে কুঠিবয়ড়া বাজার, ভূঞাপুর-তারাকান্দি-সরিষাবাড়ি যমুনা সার কারখানার সড়কসহ এলাকা হুমকির মুখে পড়েছে।
অবরোধকারীরা জানায়, টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহেলা ও উদাসীনতার কারনে আমরা মারাত্মক ভাবে হুমকির মুখে রয়েছি।
২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে কুঠিবয়ড়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মুজাফফর হোসেন বলেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভাঙ্গন প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা না হলে অবরোধসহ কঠোর কর্মসুচী গ্রহন করা হবে। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান মোলা, আলমগীর মোলা, মির্জা হাসানুর রহমান হেক্টর, জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান জানান, যেখানে যমুনার ভাঙন শুরু হয়েছে সেখানকার লোকজন আগে থেকেই সচেতন হলে ভাঙনরোধে কাজ শুরু করা সম্ভব হত। আগে থেকেই প্রশাসনের উর্ধ্বতন লোকজনের সাথে এলাকাবাসী যোগাযোগ করলে ভাঙনরোধে প্রকল্প পাস করা যেত। কিন্তু এলাকাবাসী মনে করেছে এই এলাকায় ভাঙন দেখা দিবেনা। তারপরও ভাঙনরোধে দ্রুত কাজ শুরু জন্য ঢাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডে একটি প্রাক্কলন তৈরি করে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ জানান, অতিদ্রুত ভাঙনরোধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। খুবদ্রুতই ভাঙন এলাকায় কাজ শুরু হবে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...