আগামী ২৯ মার্চ (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ছয় ইউনিয়নে নির্বাচন। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোট উৎসবে মেতে উঠেছে উপজেলার পাহাড়িয়া এলাকা বলে খ্যাত ঘাটাইলের ছয় ইউনিয়নের ভোটাররা। ইতোমধ্যে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই উৎসমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে ইউনিয়নগুলোতে। এ মুহূর্তে প্রার্থীদের দম ফেলার সময় নেই। ভোটারদের মন জয় করতে তারা চালাচ্ছে কৌশলী প্রচারণা। হাট-বাজারে, মাঠে-ঘাটে সর্বত্রই চলছে ভোট নিয়ে আলোচনা। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীরা জনপ্রিয়তার প্রমান দিতে আধা জল খেয়ে মাঠে নেমেছে। বসে নেই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তারাও তাদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করে ভোটের মাঠে টিকে থাকতে চেষ্টা চালাচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, উপজেলার ছয় ইউনিয়নে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ২৯২ জন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৮ জন, সাধারণ সদস্য পদে ১৯৮ জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ৬৬ জন। এ ছয় ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১২ হাজার ৭২৫জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫৫ হাজার ৯৩০ জন এবং নারী ভোটার ৫৬ হাজার ৭৯৫ জন।
জানা যায়, উপজেলার পাহাড়িয়া এলাকা খ্যাত তিনটি ইউনিয়ন ভেঙ্গে সংগ্রামপুর, সন্ধানপুর, রসুলপুর, ধলাপাড়া, লক্ষীন্দর ও সাগরদীঘিকে ছয়টি ইউনিয়ন গঠন করা হয়। গত ২০১৬ সালে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও আইনি জটিলতার কারণে নবগঠিত ও পুনগঠিত এই ছয় ইউনিয়নে তখন নির্বাচন হয়নি। পরবর্তীতে আইনিবাধা কাটিয়ে আগামী ২৯ মার্চ এসব ইউনিয়নে ভোট গ্রহণের ঘোষণা দেয়া হয়।
৬টি ইউনিয়নে বিএনপির মনোনীত একজন করে প্রার্থী থাকলেও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর পাশাপাশি প্রতি ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগ ঘরানার একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে আলোচিত সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে কারাগারে। এমপি রানার সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক শহীদুল ইসলাম লেবুর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক বিরোধ চলে আসছে। তবে ইউপি নির্বাচনে লেবুর অনুসারীরাই নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। অপরদিকে এমপি রানার অনুসারীরা পাহাড়িয়া এই ছয় ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।
ভোটারদের তথ্যে অনুসারে জানা যায়, এমপি রানার অনুসারীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মাঠে থাকায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা কিছুটা বেকায়দায় রয়েছেন। এর ফলে প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নেই আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ত্রিমূখী লড়াইয়ের সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। আওয়ামী লীগে দলীয় বিভক্তি বিভেদ থাকার কারণে কিছুটা সুবিধা পেতে পারে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা। আবার চমক দেখাতে পারে স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও। তবে বিজয়ের হাসি কে হাসবে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২৯ মার্চ পর্যন্ত।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...