প্রতিবছরের ন্যায় এবছরেও উৎসবমুখর পরিবেশে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সকরাইল বকুলতলা মহাশ্মাশান ঘাটে মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান শুরু হয়েছে।
গত বুধবার (১৪ মার্চ) অধিবাসের মধ্য দিয়ে ২৪ প্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞানুষ্ঠান এবং লীলা কীর্তন এর শুরু। শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ করেন আলিসাকান্দা’র শ্রী বাদল চক্রবর্তী।
অধিবাস কীর্তন পরিবেশন করেন বিনাফৈর গ্রামের শ্রী গোপীনাথ তাম্বলী ও তার দল। ১৫ মার্চ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে মহানামযজ্ঞানুষ্ঠান।
কীর্তন পরিবেশন করছেন মঞ্জু রানী স¤প্রদায় (গোপালগঞ্জ), কৃষ্ণ ভক্তি স¤প্রদায় (সিরাজগঞ্জ), নব জয়শ্রী স¤প্রদায় (বগুড়া), বাবা গোপাল স¤প্রদায় (নাটোর), মা বসন্তি স¤প্রদায় (বগুড়া), জয় মা ভবানী স¤প্রদায় (রায়গঞ্জ)। মহানামযজ্ঞানুষ্ঠান চলবে আজ শনিবার পর্যন্ত।
আজ ১৭ মার্চ শনিবার পর্যন্ত চলবে মহানামযজ্ঞানুষ্ঠান। লীলা কীর্তন শুরু হবে আগমীকাল রবিবার।
লীলা কীর্তন পরিবেশন করবেন শ্রীমতি কল্যানী দেবী (ভারত), শ্রী সুখদেব কৃষ্ণ আচার্য্য (বগুড়া) ও শ্রীমতি দ্রৌপদী রাণী সরকার (হাট কড়াই, নন্দী গ্রাম)।
১৯ মার্চ সোমবার মহাপ্রভুর ভোগ, নগর কীর্তন, দধিমঙ্গল, জলকেলী, কুঞ্জভঙ্গ, মহন্ত বিদায় ভোগঅন্তে প্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।
সকরাইল বকুলতলা মহাশ্মাশান ঘাটের সাধারণ সম্পাদক নারায়ন কুমার ভদ্র বলেন, “প্রতিবছরই আমরা এই কীর্তন এর আয়োজন করে থাকি। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সনাতনধর্মাবলম্বীরা আমাদের এখানে কীর্তন শুনতে আসে। সকল ভক্তদের জন্য প্রতিদিনই প্রসাদের ব্যবস্থা রয়েছে। আশা করছি, এবছরও সকলের সহযোগিতায় সুষ্ঠভাবেই ভাবেই উৎসব সম্পন্ন করতে পারবো।”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...