আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হল টাঙ্গাইলের তিনদিন ব্যাপি ইজতেমা।
টানা তিনদিন বয়ান ও আমলের পর শনিবার দুপুর ১২টা ৯ মিিেনটে আখেরী মোনাজাত করেন কাকরাইলের মুরুব্বী মাওলানা মোশারফ হোসেন।
জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা তাবলিগের সাথীদের পাশাপাশি মোনাজাতে শরিক হয়েছিলেন দূর দূরান্ত থেকে আসা অনেক মুসলিরাও। পাঁচ লক্ষাধিক মুসলির আমিন-আমিন ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে ইজতেমা ময়দান।
এসময় মোনাজাতে বিশ্ব মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করা হয়। ময়দানে জায়গা না হওয়ায় অনেকে আশপাশের সড়কগুলোতে দাঁড়িয়ে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন। মোনাজাতে পর ইজতেমা ময়দান থেকে দিন-ই ইসলাম ও কালেমার দাওয়াত দিতে দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়ছেন তাবলিগি সাথীরা।
গত ২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইল শহরের বৈল্যা ধুলেচর মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় উন্মক্ত ময়দানে টাঙ্গাইল জেলা ইজতেমা শুরু হয়।
জেলার সবকটি উপজেলা থেকে বিভিন্ন বয়সী তাবলিগি সাথীরা ইজতেমায় সমবেত হয়েছিলেন। এছাড়া আশপাশের অন্যান্য জেলার তাবলিগি সাথীরাসহ বিদেশী তাবলিগি সাথীরাও ইজতেমায় অংশ নেন বলে জানিয়েছেন মুরুব্বীরা।
তিনদিন বয়ান শেষে শনিবার দুপুরে আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইল জেলা ইজতেমা শেষ হয়।
টাঙ্গাইলের তাবলিগি আমীর মওলানা আব্দুল হাই বলেন, টুঙ্গি তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমা লাখ লাখ মুসুলীর সমাগম হয়, এজন্য মুসুলীদেরকে নানা প্রতিকুলতার সম্মুখিন হতে হয়। এজন্য দেশের ৬৪টি জেলার তাবলিগি সাথীদের দুই ভাগে ভাগ করে ৩২ জেলা করে দুই পর্বে ইজতেমায়ী কাজ চলত। দুই পর্ব করার পরও মুসুলীদের জায়গার স্বল্পতার কারণে ২০১৫ সাল থেকে ৩২টি জেলা দুই পর্বে করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের তাবলিগী মুরুব্বীরা।
টাঙ্গাইল জেলা ২০১৫ সালে বিশ্ব ইজতেমার ৩২ জেলার তালিকায় না থাকায় ওই বছরের ২৯, ৩০ ও ৩১ অক্টোবরে প্রথম ইজতেমা শুরু হয়। ২০১৬ সালে তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেন টাঙ্গাইলের মুসুলীরা।
২০১৭ তে তুরাগতীরে টাঙ্গাইলের মুসুলীদের অংশ গ্রহণের সুযোগ না থাকায় এবারও জেলায় ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছিল। তবে আগামী ২০১৮ সালে টাঙ্গাইলের মুসুলীরা তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...