অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তালুকদার ওরফে সুরুজ অবশেষে বুধবার আদালতে অত্মসমর্পন করেছেন।
আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বুধবার সকালে সাইফুল ইসলাম তালুকদার টাঙ্গাইলের প্রথম ১নং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১৫ নভেম্বর এই আদালতেই অস্ত্র মামলায় সাইফুলের কারাদন্ড হয়। সাজা হওয়ার পরেও সাইফুল প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়িয়েছেন গোপালপুরে।
আদালতের রায়ের পর এর প্রতিবাদে সাইফুলের অনুসারিরা গোপালপুরে একাধিক মিছিল সমাবেশ করেছে। তিনি তাতে অংশগ্রহন না করলেও আশেপাশেই অবস্থান করতেন।
গত শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্তি হওয়ায় গোপালপুর উপজেলা প্রশাসন আনন্দ শোভাযাত্রা ও সমাবেশের আয়োজন করে।
গোপালপুর থানা সেতুর মোড়ে আয়োজিত সমাবেশে সাইফুল উপস্থিত হয়ে বক্তৃতা করেন। ওই মঞ্চে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেসময় উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে তার দল এবং এলাকাবাসীর মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
মামলার বিবরনে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৮ এপ্রিল টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সাইফুলের গোপালপুর উপজেলা সদরের নন্দনপুর এলাকার বাসভবনে অভিযান চালায়।
এসময় সাইফুল পালিয়ের যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ তাকে ধরে ফেলে এবং তার কাছ থেকে চার রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশী পিস্তল উদ্ধার করে। পরদিন গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান টিটু বাদি হয়ে গোপালপুর থানায় সাইফুলের বিরুদ্ধে গোপালপুর মামলা দায়ের করেন।
পরে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান তদন্ত শেষে সাইফুলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। সাইফুল ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে পলাতক ছিলেন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...