প্রায় ২৬ দিন পর অনলাইন নিউজ পোর্টাল পূর্বপশ্চিমবিডি ডট নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার উৎপল দাসের সন্ধান পাওয়ার গুঞ্জন শোনা গেলেও এর কোনো সত্যতা মেলেনি।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের একটি হাসপাতালে উৎপল চিকিৎসাধীন আছেন বলে রোববার সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে।
মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার আনোয়ার হোসেন সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা মির্জাপুর ফাঁড়ি থেকে তথ্য পেয়েছি, এমন একজনকে পাওয়া গেছে। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা সেই তথ্য সত্য ধরে নিলেও সেখানে অফিসার পাঠানো হচ্ছে। তার স্বজনরা তাকে শনাক্ত করবেন।
এর কিছুক্ষণ পর উপকমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা যে মেসেজটি পেয়েছিলাম, সম্ভবত তা ফেইক (ভুয়া)। তাকে খুঁজে পাওয়া গেলে আপনাদের জানাব।
এদিকে উৎপল দাসের বোন বিনীতা রানী দাস বলেন, এসআই রিপন তালুকদার নামে পরিচয় দিয়ে ০১৭৯৪-৮৮২৯৮৬ নম্বর মোবাইল থেকে ফোন করে আমাকে বলা হয় উৎপল টাঙ্গাইলের মির্জাপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। তার অবস্থা গুরুতর।
জরুরি তাকে ইনজেকশন দিতে হবে জানিয়ে ওই ব্যক্তি আরো বলেন, দ্রুত ৮/১০ হাজার টাকা পাঠান। এরপর ওই নাম্বারে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করছেন না।
পূর্বপশ্চিমের সম্পাদক খুজিস্তা নূর-ই-নাহরিন বলেন, আমাদেরকে প্রথমে মতিঝিল থানা থেকে উৎপলের সন্ধান পাওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। তবে পরে বলা হয়েছে খবরটি ভুয়া।
পূর্বপশ্চিমের প্রধান সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমান বলেন, উৎপল নিখোঁজের পর মতিঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। সেই জিডির আইও গোলাম উদ্দিন মাহমুদ রব্বানী আজ সন্ধ্যার পর আমাদের সম্পাদককে ফোন করে জানান, উৎপলকে মির্জাপুরে পাওয়া গেছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে আমাদের স্থানীয় প্রতিনিধিকে হাসপাতালে পাঠাই। কিন্তু কর্তৃপক্ষ জানায়, এই নামে কোনো রোগী তাদের কাছে নেই।
তিনি বলেন, পরে মতিঝিল থানার ওসি এবং মামলার আইও জানিয়েছেন, খবরটি আসলে ভুয়া ছিল। তারাও এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেননি।
পূর্বপশ্চিমের টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, তিনি এই খবর পেয়েই ছুটে যান মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালে। সেখানে ভিড় করেন অন্য সাংবাদিকরাও। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, উৎপল দাস নামে কেউ এখানে চিকিৎসাধীন নেই।
হাসপাতালের পরিচালক দুলাল পোদ্দার বলেন, আমরা এমন কোনো রোগীকে এখানে ভর্তি করিনি। মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, আমার জানামতে মির্জাপুরে উৎপল দাস নামে কোনো রোগী কোথাও চিকিৎসাধীন নেই।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মির্জানুল হক বলেন, আমরাও গুঞ্জন শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। উৎপল দাস গত ১০ অক্টোবর মতিঝিলের অফিস থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ।
মির্জাপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বলেন, খবর শুনে আমরা খোঁজাখুজি করছি। কিন্তু কয়েকটি হাসপাতাল দেখার পরও তার সন্ধান পাইনি। আরও কয়েকটি হাসপাতাল-ক্লিনিক আছে, সেগুলোতে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...