বগুড়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার খোঁজখবর এবং আইনি পরামর্শ নিয়ে বগুড়ায় এসেছিলেন অভিযুক্ত সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি আদালত প্রাঙ্গণের পাশে অবস্থিত গহর আলী ভবনের দ্বিতীয় তলায় সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হেলালুর রহমানের চেম্বারে যান।
সেখানে সাবেক এই মন্ত্রী কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবীর সঙ্গে দুদকের দায়ের করা মামলা সম্পর্কে আইনি পরামর্শ নেন। পাশাপাশি মামলাটি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় খোঁজখবরও নেন তিনি।
বেলা আড়াইটার দিকে বগুড়া বার সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রেজাউল করিম মন্টু এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী আমার চেম্বারে এসেছিলেন। তবে ওই সময় আমি আদালতে ছিলাম। পরে সাবেক পিপি হেলালুর রহমানের চেম্বারে তার সঙ্গে মামলার বিষয়ে কথাবার্তা হয়।
সবমিলে সাবেক এই মন্ত্রী তাদের সঙ্গে আধা ঘণ্টার মত সময় কাটান। এ সময় বেশ কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাতে দুদকের বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে আদমদীঘি থানায় পাটকলের প্রায় আড়াই একর জমি দরপত্র ছাড়াই বিক্রির মাধ্যমে সরকারের ৪০ লাখ ৭০ হাজার টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ এনে সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীসহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার অপর আসামি হলেন-ওই জমির ক্রেতা বগুড়া শহরের কাটনারপাড়া এলাকার মৃত হারুন-অর-রশিদের স্ত্রী জাহানারা রশিদ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ জুট কর্পোরেশনের সুরুজ মল আগরওয়ালা (বিলুপ্ত) জায়গা জাহানারা রশিদ নামের এক মহিলা গত ২০১০ সালের ১৩ মে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় থেকে তিন বছরের জন্য প্রতিবছর এক লাখ ২০ হাজার টাকায় লিজ নেয়। জায়গার পরিমাণ ২ একর ৩৮ শতাংশ। কিন্তু তাকে এক বছর ভাড়া প্রদানের নির্দেশ দিলেও ভাড়া প্রদান না করে জমিটি ক্রয়ের জন্য পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ে ২০১১ সালে ২৩ নভেম্বর আবেদন করে।
ওই সম্পত্তি স্থায়ীভাবে বরাদ্দ দেয়ার জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করার নিয়ম থাকলেও মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী তার পরিচিতজন হওয়ায় মন্ত্রীর একক সিদ্ধান্তে ৬৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৯৫ টাকায় সম্পত্তি মাত্র ২৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৭৪ টাকা মূল্যে বিক্রি করায় সরকারের ৪০ লাখ ৬৯ হাজার ২১ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
মন্ত্রী ও আসামি জাহনারা রশিদ যোগসাজশে ব্যক্তি স্বার্থে আর্থিক লাভবান হওয়ার জন্য ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধরায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ প্রমাণ হয়েছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...